২৫৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫১ মিটার প্রস্থের ফ্যান ঝোউ ৮ মডেলের ফ্ল্যাট টপ কার্গো জাহাজটিতে অফশোর তেলক্ষেত্রের সরঞ্জাম, গ্যাস ও পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের পাশাপাশি বড় জাহাজের ইস্পাত কাঠামোও পরিবহণ করা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫৮ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ডেক জাহাজ নির্মাণ করে ইতিহাস গড়েছে। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্গো জাহাজ। পাঁচ দিনের পরীক্ষা শেষে অবশেষে জাহাজটিকে সমুদ্রপথে চলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২৫৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫১ মিটার প্রস্থের ফ্যান ঝোউ ৮ মডেলের ফ্ল্যাট টপ কার্গো জাহাজটি গত মঙ্গলবার চীনের চেচিয়াং প্রদেশের তাইজৌ ঝংহ্যাং শিপবিল্ডিং কারখানা থেকে যাত্রা শুরু করে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, শাংহাইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জলসীমায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পর জাহাজটি ফিরে আসে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাহাজটি বেশ শক্তিশালী। জাহাজটি পোলার কোডের নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়েছে। এটি ছোট ভাসমান বরফের মাঝে পথ চিনে চলতে সক্ষম। জাহাজটির পরিসর ১৬,০০০ নটিক্যাল মাইল এবং সর্বোচ্চ গতি ১৫ নটের বেশি (প্রায় ২৮ কি.মি./ঘণ্টা)। পোর্টস ডটকম অনুসারে, সাংহাই থেকে নিউইয়র্কের সমুদ্রপথ প্রায় ১৪,০০০ নটিক্যাল মাইল।
সিসিটিভি জানিয়েছে, জাহাজটির ডেকের বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই বহুমুখী পণ্য বহন করা সম্ভব। এতে অফশোর তেলক্ষেত্রের সরঞ্জাম, গ্যাস ও পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের পাশাপাশি বড় জাহাজের ইস্পাত কাঠামোও পরিবহণ করা সম্ভব।
চীনে তৈরি প্রথম এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ফুজিয়ানের সঙ্গে জাহাজটির তুলনা করেছেন চীনা ব্লগাররা। চীনের তৈরি ওই এয়ারক্রাফ্টটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৩০০ মিটার এবং প্রস্থ ৭০ মিটার।