মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয় হওয়ায় সোমবার সারাদেশে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে রোববার দেশের দশ জেলায় ফের মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সোমবার তাপমাত্রা কমে কোনো কোনো জেলা থেকে তাপপ্রবাহ দূর হতে পারে বলেও জানিয়ছে সংস্থাটি।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রংপুরে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলে মৃদু তাপপ্রবাহ। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে খুবই সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এসময়ে সবচেয়ে বেশি ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কুতুবদিয়ায়। ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা। কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
তবে মঙ্গল ও বুধবার (১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে। বুধবার দিনের তাপমাত্রা ফের বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর এবং ঢাকা অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।