ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকন ফার্মার নতুন ইতিহাস!

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এই প্রথম ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এটি কোম্পানিটির সর্বোচ্চ রেকর্ড ডিভিডেন্ড। কিন্তু সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণার তিলক পরে কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণ করেনি। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির শেয়ারকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি প্রতিবছর শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথম বছর ২০১১ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। বাকি সব বছরই ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

২০২০ সাল থেকে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। তারপর ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ২০২২ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ, ২০২৩ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ ও ২০২৪ সালে ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, কোন বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডিভিডেন্ড বিতরণ করেনি। তবে অন্যান্য বছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বিতরণ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য না হলেও এবার তুমুল আলোচনায় এসেছে। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ার প্রথম বারের মতো ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।

কিন্তু বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্যায় করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ, শাস্তির কবলে কেন পড়বে শেয়ারহোল্ডাররা তথা বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানির অন্যায়ের জন্য পরিচালকদের শাস্তি হওয়া উচিত। এজন কোনভাবেই বিনিয়োগকারীদের শাস্তি দেওয়া যাবে না। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে।

ট্যাগস

বিকন ফার্মার নতুন ইতিহাস!

আপডেট সময় ৩৪ মিনিট আগে

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্মা ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এই প্রথম ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করার রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর এটি কোম্পানিটির সর্বোচ্চ রেকর্ড ডিভিডেন্ড। কিন্তু সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড ঘোষণার তিলক পরে কোম্পানিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণ করেনি। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির শেয়ারকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি প্রতিবছর শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথম বছর ২০১১ সালে বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। বাকি সব বছরই ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

২০২০ সাল থেকে কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। তারপর ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ ক্যাশ ২০২২ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ, ২০২৩ সালে ১৬ শতাংশ ক্যাশ ও ২০২৪ সালে ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, কোন বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ডিভিডেন্ড বিতরণ করেনি। তবে অন্যান্য বছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বিতরণ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য না হলেও এবার তুমুল আলোচনায় এসেছে। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ার প্রথম বারের মতো ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।

কিন্তু বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্যায় করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ, শাস্তির কবলে কেন পড়বে শেয়ারহোল্ডাররা তথা বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানির অন্যায়ের জন্য পরিচালকদের শাস্তি হওয়া উচিত। এজন কোনভাবেই বিনিয়োগকারীদের শাস্তি দেওয়া যাবে না। যে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে।