ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির বিবৃতি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 10

বিএনপি, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষত জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান ও তার পরবর্তী ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে জনগণ নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের ব্যর্থতা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, যার ফলস্বরূপ বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি ও স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। বিএনপি বলছে, সরকার শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও আহতদের চিকিৎসায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখনও প্রশাসন ও বিচার বিভাগে ফ্যাসিস্টদের প্রভাব রয়ে গেছে।

এছাড়া, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এবং ফ্যাসিস্ট আমলের মিথ্যা মামলার সমাধানেও সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি। বিএনপির মতে, বর্তমানে দেশে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা সবচেয়ে জরুরি।

বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, সরকার যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা দেখাতে না পারে, তবে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে। দলটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

ট্যাগস

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির বিবৃতি

আপডেট সময় ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিএনপি, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষত জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান ও তার পরবর্তী ঘটনাগুলোর প্রেক্ষাপটে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে জনগণ নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৬ মাসে পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের ব্যর্থতা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, যার ফলস্বরূপ বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি ও স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। বিএনপি বলছে, সরকার শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা ও আহতদের চিকিৎসায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে এবং এখনও প্রশাসন ও বিচার বিভাগে ফ্যাসিস্টদের প্রভাব রয়ে গেছে।

এছাড়া, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে এবং ফ্যাসিস্ট আমলের মিথ্যা মামলার সমাধানেও সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি। বিএনপির মতে, বর্তমানে দেশে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা সবচেয়ে জরুরি।

বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, সরকার যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা দেখাতে না পারে, তবে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি হতে পারে। দলটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।