ঢাকা , সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত সপ্তাহ থেকে গাজায় ত্রাণের গাড়ির প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলে। এবার সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন দেশটির ইলেকট্রিক কর্পোরেশনকে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েল থেকে অপহৃত ৫৯ জন জিম্মিকে আটকে রাখায় গাজার প্রশাসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি প্রচেষ্টা। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

কোহেন একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমরা আমাদের কাছে থাকা সব কৌশল ব্যবহার করবো যাতে গাজায় আটক সব জিম্মি ফিরে আসে এবং হামাস আর গাজায় না থাকে।

রোববার (৯ মার্চ) ইসরায়েলের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। পরে ওই ভিডিও বার্তায় কোহেন বলেছেন, আমি আজ গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছি।

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের পুরো প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। তবে উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির সব প্ল্যান্ট ইসরায়েলি বিদ্যুতে পরিচালিত হয়।

ফিলিস্তিনের এই উপত্যকায় এক সপ্তাহ আগে সব ধরনের খাবার সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এরপর রোববার ২০ লাখের বেশি মানুষের এই উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি মন্ত্রী।

গাজা উপত্যকায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সেখানকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি নিয়েছে ইসরায়েল। প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বাকি জিম্মিদের অর্ধেকের মুক্তি দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।

কিন্তু হামাস প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে আলোচনায় রাজি আছে বলে জানিয়েছে।

রোববার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আলোচনা শিগগিরই শুরু করার আহ্বান জানিয়ে মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা গুটিয়ে ফেলা হয়েছে।

ট্যাগস

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল

আপডেট সময় ৮ ঘন্টা আগে

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত সপ্তাহ থেকে গাজায় ত্রাণের গাড়ির প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলে। এবার সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন দেশটির ইলেকট্রিক কর্পোরেশনকে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েল থেকে অপহৃত ৫৯ জন জিম্মিকে আটকে রাখায় গাজার প্রশাসকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি প্রচেষ্টা। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

কোহেন একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমরা আমাদের কাছে থাকা সব কৌশল ব্যবহার করবো যাতে গাজায় আটক সব জিম্মি ফিরে আসে এবং হামাস আর গাজায় না থাকে।

রোববার (৯ মার্চ) ইসরায়েলের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এলি কোহেন গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। পরে ওই ভিডিও বার্তায় কোহেন বলেছেন, আমি আজ গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার আদেশে স্বাক্ষর করেছি।

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের পুরো প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। তবে উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির সব প্ল্যান্ট ইসরায়েলি বিদ্যুতে পরিচালিত হয়।

ফিলিস্তিনের এই উপত্যকায় এক সপ্তাহ আগে সব ধরনের খাবার সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এরপর রোববার ২০ লাখের বেশি মানুষের এই উপত্যকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি মন্ত্রী।

গাজা উপত্যকায় প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সেখানকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি নিয়েছে ইসরায়েল। প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। হামাস যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বাকি জিম্মিদের অর্ধেকের মুক্তি দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।

কিন্তু হামাস প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে আলোচনায় রাজি আছে বলে জানিয়েছে।

রোববার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলেছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আলোচনা শিগগিরই শুরু করার আহ্বান জানিয়ে মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা গুটিয়ে ফেলা হয়েছে।