ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ সাত কোম্পানির মূলধন কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • 2

গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেও এই পরিস্থিতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিশেষ করে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য হ্রাস অব্যাহত থাকায় বাজারে মন্দাভাব আরও প্রকট হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাজার মূলধনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির বাজারমূল্য হ্রাস পেয়েছে, আর মাত্র ২টি কোম্পানির বাজারমূল্য বেড়েছে। একটির অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব মেগা মূলধনী কোম্পানির শেয়ার মূল্যের ওঠানামায় বাজারে সূচকেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)। বছরের শুরুতে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ১৯ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা, যা ২৭ মার্চে কমে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকায়। তিন মাসে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা।

ওষুধ খাতের রেনাটা হারিয়েছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকার বাজারমূল্য। বছরের শুরুতে রেনাটার বাজারমূল্য ছিল ৭ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা, তিন মাসের ব্যবধানে যা নেমে এসেছে ৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকায়।

রবি আজিয়াটার বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১৫২ কোটি টাকা এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ হারিয়েছে ৭৫১ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি এবং বড় বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা এ মন্দাবস্থার অন্যতম কারণ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে প্রয়োজন নীতিগত স্থিতিশীলতা ও কার্যকর প্রণোদনা।

ট্যাগস

শীর্ষ সাত কোম্পানির মূলধন কমেছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা

আপডেট সময় ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের শেয়ারবাজারে মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেও এই পরিস্থিতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিশেষ করে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য হ্রাস অব্যাহত থাকায় বাজারে মন্দাভাব আরও প্রকট হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাজার মূলধনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির বাজারমূল্য হ্রাস পেয়েছে, আর মাত্র ২টি কোম্পানির বাজারমূল্য বেড়েছে। একটির অপরিবর্তিত রয়েছে। এসব মেগা মূলধনী কোম্পানির শেয়ার মূল্যের ওঠানামায় বাজারে সূচকেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাজার মূলধন হারিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি)। বছরের শুরুতে কোম্পানিটির বাজার মূলধন ছিল ১৯ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা, যা ২৭ মার্চে কমে দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকায়। তিন মাসে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা।

ওষুধ খাতের রেনাটা হারিয়েছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকার বাজারমূল্য। বছরের শুরুতে রেনাটার বাজারমূল্য ছিল ৭ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা, তিন মাসের ব্যবধানে যা নেমে এসেছে ৫ হাজার ৭৪০ কোটি টাকায়।

রবি আজিয়াটার বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১৫২ কোটি টাকা এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ হারিয়েছে ৭৫১ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগকারীদের আস্থার ঘাটতি এবং বড় বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তা এ মন্দাবস্থার অন্যতম কারণ। বাজারে প্রাণ ফেরাতে প্রয়োজন নীতিগত স্থিতিশীলতা ও কার্যকর প্রণোদনা।