বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ুর সিংহাসনের দেখা পান, তখন কি পদ্মা সেতু ভেঙে ফেলবেন? মেট্রোরেল ভেঙে ফেলবেন? রূপপুরে পানি দেবেন? ক্ষমতায় এলে রূপপুর নাকি বন্ধ করে দেবে। আমি বলেছি, এই ইউরেনিয়াম ফখরুলের মাথায় ঢালতে হবে, তাহলে শিক্ষা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবন থেকে ভার্চুয়ালি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভারপাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষাকেন্দ্র, ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিসি’র ময়মনসিংহ বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ময়মনসিংহ জেলার কেওয়াটখালী ও রহমতপুর সেতুর নির্মাণ কাজ এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহত ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, আমি সড়কের কোনো মিটিংয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা বলি না। আজ বললাম, এখন সবসময় বলবো। কারণ এটা আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের অস্তিত্বের রাজনীতি। এ লড়াই অনেক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটা দল আজ দিনরাত বিষোদগার করে। যার সঙ্গে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজ করেছেন, আপনারা দেখেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজে সেলফি তুলেছেন। এটা অন্য কিছু না। সমর্থন করছেন, তাতে আমরা আনন্দিত সেটিও না। শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এটাই বড়। সমর্থনের কথা বলে লাভ নেই। চারদিকে আগুন। অনেকে নিজের ঘরই সামলাতে পারছে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল প্রতিদিন বলছেন পশ্চিমা বিশ্ব উৎসাহ দিচ্ছে, এতে তিনি সাহস পাচ্ছেন। বিরোধীদল নেতিবাচক রাজনীতি করে বার বার পতনের দিকে গেছে। এখনো তারা যে পথে গেছে, সে পথ কোন পথ? গতকালও বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক আজিমপুরের গোরস্থানে ঘুমিয়ে আছে। ওটা জাগবে না। প্রধানমন্ত্রী কোন দুঃখে পদত্যাগ করবেন? বিদেশি সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন, অর্জন ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে যদি চান, শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এবার এটা মানতে হবে। শত্রুরা ৪৭ এর লাইনে চলে গেছে। তারা দ্বিজাতি তত্ত্বের লাইনে। আমার সবুজের মধ্যে লাল পতাকা উঁচিয়ে ধরতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ আমাদের লাইন নয়। এদের সুযোগ দিয়ে লাভ নেই। এদের সুযোগ দিলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা না এলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধ ধ্বংস হয়ে যাবে। জয় বাংলা, স্বাধীনতা ও গৌরবময় ইতিহাস থাকবে না। রক্ত উপত্যকার বাংলাদেশ আমরা চাই না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির সংকট সন্ধিক্ষণে আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে। ১৫ বছর আগের বাংলাদেশের দিকে তাকান। ১৫ বছর পরের রূপান্তরিত বাংলাদেশ দেখেন। যার রূপকার শেখ হাসিনা। এই রূপান্তর বিশ্বের বিস্ময়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য দেন সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান। আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।