ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ আগস্টের আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জুলাই ঐক্যের

৫ আগস্টের আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’।

বুধবার (৭ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে জুলাই ঐক্যের নেতারা এ দাবি জানান। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ প্রধান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি এবং আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে একাধিক স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আগামী ‘৩৬ জুলাই’র (৫ আগস্ট) মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে। জুলাই ঐক্য কোনো রাজনৈতিক দল নয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাবু এমদাদ বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালে মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা এ জঙ্গি সংগঠনের বিচার চাই। আমরা বাংলাদেশপন্থিরা যতদিন বেঁচে আছি, জঙ্গিদের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে হতে দেব না।

জাগ্রত জুলাইয়ের শামিম মাহদি বলেন, হাজারো শিক্ষার্থীর রক্তের সঙ্গে বেইমানি জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মেনে নেবো না। আগামী জুলাইয়ের আগে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমরা পুনরায় জুলাই জাগ্রত করে তুলবো। আমরা আশ্চর্য হই, জুলাইয়ে শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে খুনের রক্ত লেগে আছে। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, জুলাইয়ে গণহত্যা এবং শাপলা গণহত্যার বিচারের দাবি জোরালো করতে সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে প্রায় ৪০টির অধিক সংগঠনের নেতাকর্মী মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী তিনদিন ‘ব্যান ফ্যাসিস্ট ক্যাম্পেইনে’ দেশব্যাপী সব অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচার এবং জুলাই সনদের দাবিতে গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।

ট্যাগস

৫ আগস্টের আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জুলাই ঐক্যের

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

৫ আগস্টের আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’।

বুধবার (৭ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে জুলাই ঐক্যের নেতারা এ দাবি জানান। এ সময় তারা আওয়ামী লীগ প্রধান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি এবং আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে একাধিক স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, আগামী ‘৩৬ জুলাই’র (৫ আগস্ট) মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার করতে হবে। জুলাই ঐক্য কোনো রাজনৈতিক দল নয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাবু এমদাদ বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালে শাপলা হত্যাকাণ্ড, ২০২১ সালে মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা এ জঙ্গি সংগঠনের বিচার চাই। আমরা বাংলাদেশপন্থিরা যতদিন বেঁচে আছি, জঙ্গিদের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে হতে দেব না।

জাগ্রত জুলাইয়ের শামিম মাহদি বলেন, হাজারো শিক্ষার্থীর রক্তের সঙ্গে বেইমানি জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা মেনে নেবো না। আগামী জুলাইয়ের আগে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আমরা পুনরায় জুলাই জাগ্রত করে তুলবো। আমরা আশ্চর্য হই, জুলাইয়ে শহীদ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে খুনের রক্ত লেগে আছে। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের সাংবিধানিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, জুলাইয়ে গণহত্যা এবং শাপলা গণহত্যার বিচারের দাবি জোরালো করতে সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে প্রায় ৪০টির অধিক সংগঠনের নেতাকর্মী মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আগামী তিনদিন ‘ব্যান ফ্যাসিস্ট ক্যাম্পেইনে’ দেশব্যাপী সব অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচার এবং জুলাই সনদের দাবিতে গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।