ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগের দিনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার

ভিন্ন দেশের এক সংঘাতকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। ঘটেছিল গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন। তবে অকারণ ভীতির সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠেছে বাজার। বৃহস্পতিবার সকালেই বাজার অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

আজ (৮ মে) সকাল থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব মূল্যসূচক উর্ধমুখী। বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম। সকাল ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৫ দশমিক ০১ পয়েন্টে উঠে আসে। গতকাল এই সময়ের মধ্য সূচকটি প্রায় ৬০ পয়েন্ট কমে গিয়েছিল।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে ডিএসইতে ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। তার মধ্যে ৩৩৩টির দর বাড়ে, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৮৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এই সময়ে দর কমে মাত্র ১৮টির। অন্যদিকে ২৯টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে চালানো ভারতের হামলা এবং পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় দেশ দুইটির মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আতঙ্কের ঢেও লাগে আমাদের পুঁজিবাজারে। তাতে বুধবার (৭ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশের বেশি কোম্পানি শেয়ারের দর হারায়। ডিএসইতে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। তার মধ্যে ৩৮৫টি দর হারায়, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৯৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এই সময়ে দর বাড়ে মাত্র ৯টির। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৮০২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে নেমে আসে।

বাজার বিশ্লেষকরা বুধবারের বাজার আচরণকে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। অকারণ আতঙ্কে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রি করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, সুযোগ নেবে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠি, তারা দীর্ঘ মেয়াদে অনেক লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

পাকিস্তান ও ভারতের নতুন করে বড় কোনো হামলার ঘটনা না ঘটা এবং পাকিস্তান সংযম দেখানোর মনোভাব প্রকাশ করায় সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা কিছুটা কমে এসেছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আতঙ্কের ধাক্কার প্রভাব কমেছে। এছাড়া বাজার উন্নয়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে সভা আহ্বান করেছেন, তাতেও কিছুটা আশাবাদ ছড়িয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজারে ছিল ইতিবাচক ধারা।

ট্যাগস

আগের দিনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার

আপডেট সময় ৫ ঘন্টা আগে

ভিন্ন দেশের এক সংঘাতকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছিল দেশের পুঁজিবাজারে। ঘটেছিল গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন। তবে অকারণ ভীতির সেই ধাক্কা কিছুটা সামলে উঠেছে বাজার। বৃহস্পতিবার সকালেই বাজার অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

আজ (৮ মে) সকাল থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব মূল্যসূচক উর্ধমুখী। বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম। সকাল ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৫ দশমিক ০১ পয়েন্টে উঠে আসে। গতকাল এই সময়ের মধ্য সূচকটি প্রায় ৬০ পয়েন্ট কমে গিয়েছিল।

বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে ডিএসইতে ৩৮০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। তার মধ্যে ৩৩৩টির দর বাড়ে, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৮৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এই সময়ে দর কমে মাত্র ১৮টির। অন্যদিকে ২৯টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে চালানো ভারতের হামলা এবং পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় দেশ দুইটির মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এই আতঙ্কের ঢেও লাগে আমাদের পুঁজিবাজারে। তাতে বুধবার (৭ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৯০ শতাংশের বেশি কোম্পানি শেয়ারের দর হারায়। ডিএসইতে ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। তার মধ্যে ৩৮৫টি দর হারায়, যা লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের ৯৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এই সময়ে দর বাড়ে মাত্র ৯টির। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩.০১ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৮০২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে নেমে আসে।

বাজার বিশ্লেষকরা বুধবারের বাজার আচরণকে অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। অকারণ আতঙ্কে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রি করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, সুযোগ নেবে সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠি, তারা দীর্ঘ মেয়াদে অনেক লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।

পাকিস্তান ও ভারতের নতুন করে বড় কোনো হামলার ঘটনা না ঘটা এবং পাকিস্তান সংযম দেখানোর মনোভাব প্রকাশ করায় সর্বাত্মক যুদ্ধের আশংকা কিছুটা কমে এসেছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আতঙ্কের ধাক্কার প্রভাব কমেছে। এছাড়া বাজার উন্নয়নের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে সভা আহ্বান করেছেন, তাতেও কিছুটা আশাবাদ ছড়িয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজারে ছিল ইতিবাচক ধারা।