প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যে শব্দচয়ন রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম করেছে’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমন সব বিষয়ে অবতারণা করেছেন, যা তার ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি ‘ম্যান্ডেট’র মধ্যে পড়ে না।

শুক্রবার (৬ জুন) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। পরে মধ্যরাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সভায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের শব্দচয়নে রাজনৈতিক ভব্যতার সীমা অতিক্রম করায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সভায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সময়সীমা প্রস্তাব করেছেন, তা পর্যালোচনা করে সভা মনে করে, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে একদিকে আবহাওয়ার সংকট এবং অন্যদিকে রমজানের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রম এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে যা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

সভা আরও জানায়, কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়, এমন কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উল্লেখ করা হয়নি।

বিএনপি বলছে, প্রায় দেড় যুগ ধরে মৌলিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত দেশের জনগণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জীবনপণ লড়াই চালিয়ে গেছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তারপরও নির্বাচন নিয়ে অহেতুক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করছে।

এছাড়া রমজান, পাবলিক পরীক্ষা ও আবহাওয়া বিবেচনায় ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে সভায় জানানো, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি থাকলেও এটি এখন একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে দেশের জনগণ সঙ্গতভাবেই শঙ্কিত বলে সভায় অভিমত জানানো হয়।