কোরবানির পশুর চামড়ার দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও সেটি প্রতিপালন হচ্ছে না মাঠ পর্যায়ে। ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই বড় গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে। ছোট গরু হলে দাম আরও কম। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর মিরপুর এলাকায় একাধিক বিক্রেতা ও ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দেড় লাখ টাকার গরুর চামড়ার দাম বলে ৫০০ টাকা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, কিন্তু তারা তো কিনবে না। যারা মাঠ পর্যায়ে কেনে, তারা দাম না দিলে কী করবেন?’
তারই প্রতিবেশী রাইসুল বলেন, ‘গরিবের এই হকের ওপর যদি সরকার নজরদারি করতো তাহলে ভালো হতো। দাম নির্ধারণের পর সেই দামের অর্ধেকও দিতে চাইছেন না ক্রেতারা।’
বিষ্ণুদাস নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আমি নয়টির মতো চামড়া কিনেছি। ৭০০, ৭৫০ এবং ৮০০ টাকার মধ্যে সব। তবে ছোট হলে ৫০০ টাকার বেশি না, এটা ঠিক। এখান (তালতলা) থেকে নিয়ে আমিনবাজার গিয়ে বিক্রি করবো।’
তিনি বলেন, ‘একটু দামাদামি করে কিনলে কিছু টাকা পাওয়া যায়। তবে লস নাই।’ তবে এই ব্যাপারী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেমন চামড়ার বাজার শেষ করে দিয়েছে। এ সরকারও তাই করেছে। কোনো সরকারই ভালো করে নাই।’
মাঠ পর্যায়ের আরেকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তার রাজনৈতিক পরিচয় থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে যদি আমরা কিনি, তাহলে আমরা কীভাবে বিক্রি করবো। যারে যত দিয়ে পারতেছি, নিচ্ছি। আশা করি, দুই-তিন হাজার চামড়া কিনতে পারবো। একসঙ্গে করে নিয়ে আমিনবাজারে বিক্রি করে আসবো। সারাদিন পরিশ্রম করে আমাদের তো কিছু থাকা লাগবে। সংসার তো চালাতে হবে।’
এই নেতা বলেন, ‘একসময় এই চামড়া ১৫০০ থেকে ১৬০০ বা দুই হাজারেও কিনছি। এখন তো দাম পড়ে গেছে ‘