আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে বার্সেলোনা ও চেলসিকে বিশাল অঙ্কের জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবল নিয়্ন্ত্রক সংস্থা (উয়েফা)। এর মধ্যে চেলসিকে জরিমানা করা হয়েছে মোট ৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার), যা ইউরোপে এক মৌসুমে কোনো ক্লাবের ওপর চাপানো সর্বোচ্চ জরিমানা। অন্যদিকে বার্সাকে দিতে হবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার)।
উয়েফার জটিল হিসাব অনুযায়ী অতিরিক্ত খরচের জন্য এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে, যা মূলত ফুটবলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে গৃহীত নীতির অংশ। উভয় ক্লাবের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাবের উপর ভিত্তি করে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যদি তারা নির্ধারিত আর্থিক নীতিমালা মানতে ব্যর্থ হয়, তবে আবারও লাখ লাখ ইউরো জরিমানা গুনতে হবে।
চেলসিকে দুইটি নিয়ম ভাঙার অপরাধে আলাদা আলাদা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে ব্যয়-আয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারায়। আর ১১ মিলিয়ন ইউরো করা হয়েছে দলীয় ব্যয় (যেমন খেলোয়াড় কেনা, বেতন) আয়ের ৮০ শতাংশ সীমা অতিক্রম করায়।
চেলসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্লাবটি উয়েফার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং তাদের আর্থিক রিপোর্ট বিশদভাবে উপস্থাপন করেছে, যা নির্দেশ করে যে ক্লাবটির আর্থিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। উয়েফার সঙ্গে চেলসির সম্পর্ক অত্যন্ত মূল্যবান এবং দ্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী ছিলাম।
চেলসি বর্তমানে ব্লুকো ২২ লিমিটেডের মালিকানাধীন। ক্লাবের মালিকানা ২০২২ সালে মার্কিন ব্যবসায়ী টড বোহলি ও ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের অধীনে আসে। তাদের মালিকানায় চেলসি বরাবরই বাজারে বিপুল ব্যয় করেছে। এর আগে ব্লুকোর বিরুদ্ধে ৭৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের দুটি হোটেল বিক্রির অনিয়ম নিয়েও তদন্ত হয়েছিল।
২০২৩ সালে বোহলি মালিকানা গ্রহণের প্রথম বছর অতীতের অনিয়মের জন্য ১০ মিলিয়ন জরিমানা ইউরো দিয়েছিল চেলসি। বার্সাও ওই বছর আয়ের ভুল হিসাব দেখানোয় ৫ লাখ ইউরো জরিমানা গুনেছিল। আর্থিক নীতি ভঙ্গের অপরাধে জরিমানার আওতায় আসা অন্য ক্লাবগুলো হলো- প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা (১১ মিলিয়ন ইউরো) ও ফরাসি ক্লাব লিওঁ (১২.৫ মিলিয়ন ইউরো)।