ঢাকা , রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ দিনে বার্জার পেইন্টসের দাম কমলো ৯৬৭ কোটি টাকা

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে মূল্য সূচকের মোটামুটি বড় উত্থান হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে, তার দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে শেয়ার দাম কমার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টস। সপ্তাজুড়ে দাম কমায় পাঁচ দিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে প্রায় ৯৬৭ কোটি টাকার বেশি কমে গেছে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর ১০৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এমন বাজারে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই বার্জার পেইন্টসের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। ফলে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৯৭ টাকা। এতে এক সপ্তাহেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৯৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ২২৭ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১ হাজার ৭৩৬ টাকা ৬০ পয়সা।

শেয়ার দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২৩ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ৩৭৫ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ২৯৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ কোম্পানিটি নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১টি। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশই আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭৩ শতাংশ আছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ২০ শতাংশ আছে।

বার্জার পেইন্টসের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- রহিমা ফুডের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলসের ৪ দশমিক ১৮ শতংশ এবং মুন্নু এগ্রো’র ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম কমেছে।

ট্যাগস

পাঁচ দিনে বার্জার পেইন্টসের দাম কমলো ৯৬৭ কোটি টাকা

আপডেট সময় ৫ ঘন্টা আগে

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে মূল্য সূচকের মোটামুটি বড় উত্থান হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমছে, তার দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে শেয়ার দাম কমার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টস। সপ্তাজুড়ে দাম কমায় পাঁচ দিনেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে প্রায় ৯৬৭ কোটি টাকার বেশি কমে গেছে।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৫৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর ১০৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এমন বাজারে বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই বার্জার পেইন্টসের শেয়ার কিনতে খুব একটা আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। ফলে ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৯৭ টাকা। এতে এক সপ্তাহেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৯৬৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ২২৭ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ১ হাজার ৭৩৬ টাকা ৬০ পয়সা।

শেয়ার দামে এমন পতন হওয়া কোম্পানিটি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তার আগে ২০২৩ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ৩৭৫ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ২৯৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ কোম্পানিটি নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে।

২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১টি। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশই আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭৩ শতাংশ আছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ২০ শতাংশ আছে।

বার্জার পেইন্টসের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- রহিমা ফুডের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলসের ৪ দশমিক ১৮ শতংশ এবং মুন্নু এগ্রো’র ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ দাম কমেছে।