গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালার ১০০ জন এমপিসহ (সংসদ সদস্য) প্রায় ৩০০ জন নাগরিকের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি বিবৃতিতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয়তা রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। নাম প্রকাশ না হলেও এসব ব্যক্তিই দেশটির গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার সাথে জড়িত।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, গণতান্ত্র বিরোধী বহু কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় এই কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুয়েতেমালার জনগণ তাদের কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে। গুয়াতেমালার গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করে এমন যে কোন ব্যক্তির ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি গুয়েতেমালার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালোর বিজয়কে বাতিল করতে চেয়ে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশটির প্রসিকিউটররা। গত শুক্রবার এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে আরেভালো বলেছেন, এই পদক্ষেপ ন্যায়ভ্রষ্ট ও অভ্যুত্থান চেষ্টার সমান। তার এমন বক্তব্য প্রদানের পরই দেশটির ১০০ জন এমপিসহ প্রায় ৩০০ জন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া এরআগে একইদিনে আফগানিস্তানের সাবেক স্পিকারসহ দুই সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ দেশটির ৪৪টি প্রতিষ্ঠান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক সরকারি কৌঁসুলি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক, ডোমিনিকান রিপাবলিকের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দুজন সাবেক সিনেটর, লাইবেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেও ভিসা বিধিনিষেধ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।