আসন্ন ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে একতরফা উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের ঘোষণা দিয়ে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ এবং ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে দলটি। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী গণসংযোগ এবং ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল করা হবে। গণমিছিল শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে এসব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সরকারের বিদায় নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তারা।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘একতরফা নির্বাচন ও পরিকল্পিত সহিংসতার প্রতিবাদে’ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে দলটি। সমাবেশে দলটির নেতারা বলেন, সরকার নির্বাচন বিরোধিতা বন্ধ করার নামে বিভিন্ন এজেন্ট দিয়ে নাশকতা তৈরি করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে ট্রেনে আগুন লাগার পর কোনোরকম তদন্ত না করেই পুলিশ প্রধান বলেছেন আন্দোলনকারীরা এ কাজ করেছে। যেখানে আগুন লাগার পরেও না থামিয়ে ট্রেন ১২ কি: মি: চলেছে, সেটার তদন্ত না করে এ কথা বলা নিশ্চিতভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।
নেতারা আরও বলেন, মিছিল মিটিংয়ের অধিকার হরণ করে প্রহসনের নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। অবিলম্বে তামাশার তফসিল স্থগিত এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন।