নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ১৮ ওয়ানডে হারের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। আজ নেপিয়ারে স্বাগতিকদের বিপক্ষে অভাবনীয় বোলিং পারফরম্যান্সের পর টাইগাররা জিতেছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। কিউইদের ৯৮ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ৯ উইকেট ও ২০৯ বল হাতে রেখে দেশটিতে অধরা জয়ের খোঁজ পায় বাংলাদেশ।
টানা দুই জয়ে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নেয় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচের জয়টি বাংলাদেশের জন্য সান্ত্বনার। আবার আসন্ন টি২০ সিরিজের আগে এই জয়টি নাজমুল হোসেন শান্তদের আত্মবিশ্বাসও জোগাবে। জয় শেষে সাক্ষাৎকারে সেটিই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলনায়ক।
হার না মানা ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করানো গর্বিত অধিনায়ক শান্ত জয় শেষে, ‘এমন একটি ম্যাচ খেলার জন্য ছেলেদের ধন্যবাদ দিতে চাই। সিরিজ শুরুর আগে মনে হচ্ছিল, আমরা সিরিজও জিততে পারি। প্রথম দুটি ম্যাচ তো জিততে পারিনি। যাই হোক, আজ জিততে পেরে খুশি। কৃতজ্ঞতা। বোলাররা অনেক কিছু শিখেছে। তারা খুব ভালো জায়গায় বোলিং করেছে, উইকেটের চিন্তা করে বল করেনি। বোলাররা আজ যেভাবে খেলেছে তাতে আমি আনন্দিত।’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশ দলনায়ক বলেন, ‘আমি বোলারদের মেরে খেলতে চাইনি, ঠিক নিজের খেলাটা কিংবা নিজের প্রক্রিয়ায় এগোতে চেয়েছি।’
২৭ ডিসেম্বর থেকে টি২০ সিরিজ। তৃতীয় ওয়ানডেতে জয় টি২০ সিরিজে কতটা সাহায্য করবে? এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘এই জয়টি আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস এনে দেবে। যদিও টি২০ ভিন্ন এক ফরম্যাট। আমরা টি২০ সিরিজের জন্য পরিকল্পনা করব।’
আপাতত নেপিয়ার শহর ঘুরে দেখবেন ক্রিকেটাররা। তবে এর মাঝেও শান্তদের মাথায় ঘুরপাক খাবে টি২০ সিরিজ।
১৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হওয়া পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব বলেন, ‘আমি আমার পারফরম্যান্সে অনেক খুশি। শুরুটা ভালো করতে পেরেছি। বোলিংটা উপভোগ করছি। এই উইকেটে বলে সুইং আসছিল। বোলিংটাই আমাদের দলের সুর এনে দেয়। আমি লাইন-লেংথ ঠিক রেখে উইকেট টু উইকেট বোলিং করে যেতে চেয়েছি। বাকিটা উইকেট থেকে সহায়তা পেয়েছি। সবকিছু ঠিকমতো করতে পেরে আমি আনন্দিত। পেস বোলারদের জন্য এটা দারুণ উইকেট, দারুণ কন্ডিশন।’
কিউই দলনায়ক টস ল্যাথাম বললেন, ‘আমাদের দিক থেকে এটি খুবই নিম্নমানের পারফরম্যান্স। আমরা কোনো পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি ও তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারিনি। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা ভালো কিছু মুভমেন্ট পেয়েছে ও বোলাররা সঠিক জায়গায় বল করে গেছে। আমরা জানতাম, তারা এই ম্যাচ জানপ্রাণ দিয়ে খেলে জিততে চাইবে। তারা সেটি করেছে। আমাদের দিক থেকে বলব, এই সিরিজটা কিছু ছেলের জন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের। প্রতিটি ম্যাচ থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে। এই ছেলেগুলো সেই শিক্ষা নিয়ে পরের চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হতে পারবে।’