ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিপজলের সাথে এমপি মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণা নতুন বক্তব্য

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 110

মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগমের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন বাংলা ছবির জনপ্রিয় খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এ সময় নেতাকর্মীদের অনুরোধে ‘সানডে মানডে ক্লোজ’ ডায়ালগ দিয়ে সবাইকে আনন্দে ভাসান তিনি।

মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নে তিনটি পথসভায় অংশ নেন ডিপজল। এ সময় নৌকার প্রার্থী মমতাজও উপস্থিত ছিলেন।

একটি পথসভায় মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, মানিকগঞ্জ, ঘিওর, সাটুরিয়ার রাস্তাঘাটে এক সময় ঢোকা যেত না। চার চাকার গাড়ি তো দূরের কথা, হোন্ডা নিয়েও চলাচল করা যেত না। সিংগাইর, হরিরামপুরে কোনো রাস্তাঘাট ছিল না। বিদ্যুৎ তো ছিলই না। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তাঘাট হয়েছে। আপনারা এখন ভালোই আছেন। এই আসনে আরও উন্নয়ন করার জন্য আগামী ৭ তারিখে মমতাজের নৌকা মার্কায় সবাই ভোট দেবেন।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই খল অভিনেতা আরও বলেন, আমার কথা পরিষ্কার, রাস্তাঘাটের কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে। যদি ভুল-ত্রুটি থাকে, কিছু থাকতে পারে। শয়তানও ভুল করে। আর আমরা তো মানুষ। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেইখা এবারও মমতাজ আপাকে ভোট দেবেন, এটা আমি আশা করি। আপনারা আমাদের পাশে থাইকেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা আপনাদের পাশে থাকব।

বক্তব্যের শেষের দিকে উপস্থিত সবাই ডায়ালগ দেওয়ার অনুরোধ করলে ডিপজল বাংলা ছবির একটি জনপ্রিয় ডায়ালগ ‘সানডে মানডে ক্লোজ কইরা দিমু’ বলে নেতাকর্মীদের আনন্দে মাতান।

ডিপজলের মুখে পরিচিত এই ডায়ালগ শুনে উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হাসতে থাকেন। সংসদ সদস্য প্রার্থী মমতাজ বেগমও এ সময় উচ্চস্বরে হাসেন।

এ সময় মমতাজ বেগম বলেন, আমার নির্বাচনী আসনের প্রায় সব রাস্তা পাকা করেছি। আজ সুন্দর দৃষ্টিনন্দন পাকা রাস্তা দিয়ে বাস বা মোটরসাইকেল চালিয়ে আপনারা মানিকগঞ্জ, ঢাকায় যান। কৃষকরা তার জমি থেকে ফসল তুলে গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যায়।

নৌকার প্রার্থী বলেন, এই আসনের ৭০ ভাগ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। এই সরকার প্রতিটি বাড়ির ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। এখন মানুষ বিদ্যুতের জন্য আর আমার কাছে আসে না।

মমতাজ বেগম আরও বলেন, এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। স্থায়ীভাবে পদ্মা নদী শাসনসহ প্রান্তিক গ্রামের কিছু রাস্তাঘাট বাকি আছে।

বেকারত্ব দূর করতে এই অঞ্চলে কিছু প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ট্যাগস

ডিপজলের সাথে এমপি মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণা নতুন বক্তব্য

আপডেট সময় ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগমের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন বাংলা ছবির জনপ্রিয় খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এ সময় নেতাকর্মীদের অনুরোধে ‘সানডে মানডে ক্লোজ’ ডায়ালগ দিয়ে সবাইকে আনন্দে ভাসান তিনি।

মমতাজের নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নে তিনটি পথসভায় অংশ নেন ডিপজল। এ সময় নৌকার প্রার্থী মমতাজও উপস্থিত ছিলেন।

একটি পথসভায় মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, মানিকগঞ্জ, ঘিওর, সাটুরিয়ার রাস্তাঘাটে এক সময় ঢোকা যেত না। চার চাকার গাড়ি তো দূরের কথা, হোন্ডা নিয়েও চলাচল করা যেত না। সিংগাইর, হরিরামপুরে কোনো রাস্তাঘাট ছিল না। বিদ্যুৎ তো ছিলই না। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। রাস্তাঘাট হয়েছে। আপনারা এখন ভালোই আছেন। এই আসনে আরও উন্নয়ন করার জন্য আগামী ৭ তারিখে মমতাজের নৌকা মার্কায় সবাই ভোট দেবেন।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই খল অভিনেতা আরও বলেন, আমার কথা পরিষ্কার, রাস্তাঘাটের কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে। যদি ভুল-ত্রুটি থাকে, কিছু থাকতে পারে। শয়তানও ভুল করে। আর আমরা তো মানুষ। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেইখা এবারও মমতাজ আপাকে ভোট দেবেন, এটা আমি আশা করি। আপনারা আমাদের পাশে থাইকেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা আপনাদের পাশে থাকব।

বক্তব্যের শেষের দিকে উপস্থিত সবাই ডায়ালগ দেওয়ার অনুরোধ করলে ডিপজল বাংলা ছবির একটি জনপ্রিয় ডায়ালগ ‘সানডে মানডে ক্লোজ কইরা দিমু’ বলে নেতাকর্মীদের আনন্দে মাতান।

ডিপজলের মুখে পরিচিত এই ডায়ালগ শুনে উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হাসতে থাকেন। সংসদ সদস্য প্রার্থী মমতাজ বেগমও এ সময় উচ্চস্বরে হাসেন।

এ সময় মমতাজ বেগম বলেন, আমার নির্বাচনী আসনের প্রায় সব রাস্তা পাকা করেছি। আজ সুন্দর দৃষ্টিনন্দন পাকা রাস্তা দিয়ে বাস বা মোটরসাইকেল চালিয়ে আপনারা মানিকগঞ্জ, ঢাকায় যান। কৃষকরা তার জমি থেকে ফসল তুলে গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যায়।

নৌকার প্রার্থী বলেন, এই আসনের ৭০ ভাগ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। এই সরকার প্রতিটি বাড়ির ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। এখন মানুষ বিদ্যুতের জন্য আর আমার কাছে আসে না।

মমতাজ বেগম আরও বলেন, এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। স্থায়ীভাবে পদ্মা নদী শাসনসহ প্রান্তিক গ্রামের কিছু রাস্তাঘাট বাকি আছে।

বেকারত্ব দূর করতে এই অঞ্চলে কিছু প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।