ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি পরিবার। পরিবারটির কিস্তির বাকি টাকা মওকুফসহ ৬০ হাাজার ৮৮৩ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা ভবেরচর শাখা।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ জুলাই ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে একটি ফ্রিজ ক্রয় করেন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজ খন্দকার। এরপর গত ১৯ নভেম্বর স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ তিনি। এর প্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে কিস্তির টাকা মওকুফসহ তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ফয়েজ খন্দকারের মেয়ে কোহিনূর বেগমের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ডিভিশন-৫ এর ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার মুমিনুল হক, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার রায়হান কবির, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান এবং ওয়ালটন প্লাজা ভবেরচর শাখার ম্যানেজার খায়রুল হাসান রেজা।
উল্লেখ্য, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য ক্রেতার পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।
বাবার মৃত্যুতে অসহায়কালে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করায় আনন্দিত কোহিনূর বেগম। ওয়ালটন প্লাজাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক কোম্পানিই কিস্তিতে পণ্য বিক্রি করছে। কোনো কোম্পানি ক্রেতাকে এমন আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না। বাংলাদেশে এই অভাবনীয় কাজটি করে দেখাচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এখানেই ওয়ালটন সবার থেকে আলাদা। এভাবে ক্রেতাদের মনে জায়গা সৃষ্টি করে চলেছে ওয়ালটন প্লাজা। ওয়ালটন প্লাজার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।