জাতীয় দলের কোনো খেলা না থাকায় খুব একটা ভিড় নেই হোম অব ক্রিকেটে। তবে যুবাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সরগরম মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এর মধ্যে আলো কেড়ে নিলেন মাসুদুর রহমান মুকুল-গাজী সোহেল।
কিন্তু কেন? দুজনেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় যুব বিশ্বকাপে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একাডেমি ভবনের সামনে গণমাধ্যমে একের পর এক প্রতিক্রিয়া দিয়ে যাচ্ছেন। দুজনের একই সুর, এখানে ভালো করে এগিয়ে যাবেন আরও সামনে। তাইতো যুবাদের এই বিশ্বকাপকে নিয়েছেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে।
মুকুল বলেন, ‘আমরা দুজনই খুব রোমাঞ্চিত। এখানে আমাদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে আমাদের উন্নতিই শুধু না বাংলাদেশের সম্মানও জড়িত। এটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি।’
‘যুব বিশ্বকাপ আমাদের জন্য নতুন না। আমরা জানি যে আম্পারিংয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে হয় তাহলে এই রকম টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ’-আরও যোগ করেন মুকুল।
১৯ জানুয়ারি শুরু হবে বিশ্বকাপ। ৭ জানুয়ারি মুকুল-সোহেলদের ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। দুজনে এর আগে যুবাদের বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালন ছাড়াও এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করেছেন। এবার পালা নিজেদের আরও শাণিত করার।
গাজী সোহেল বলেন, ‘আমরা যুব বিশ্বকাপে ভালো করতে পারলে আমাদের র্যাংকিংয়ও বাড়বে। বাংলাদেশের আম্পায়ারদের ইমেজও বাড়বে। আমরা ভালো করলে আমাদের দেখে ভবিষ্যতে আরও আম্পায়াররা উঠে আসবে। সৈকত ভাই যেমন দুই বছরের মধ্যে আইসিসি এলিট প্যানেলে চলে আসবেন। সেটা আমাদের অনুপ্রানিত করে।’
‘করোনার আগে আমাদের ইমেজ সংকট ছিল। করোনার পর যখন সুযোগ পেলাম আমরা ধারাবাহিক ভালো করেছি। আইসিসি থেকে উদ্দীপনামূলক মেইলও আমরা পেয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় সৈকত ভাই এখন বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করেছে, টেস্টে করবে। মুকুল ভাই এশিয়া কাপে করেছে। এখন বিপিএলে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যাবহারে আমরা আরও ভালো করেছি’ -আরও যোগ করেন সোহেল।