ঢাকা , শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 146

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, জামানত বই, রশিদ বই, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের ফরম।

৪ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর বিজি প্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) থেকে এসব সামগ্রী জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর জেলা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে এসব সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়। এর আগে, প্রতিটি জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের প্রতিনিধিকে বিজি প্রেসে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

খুলনা: খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার সকাল থেকে খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার বাদে ভোট গ্রহণ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। শনিবার দুপুর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে এসব সামগ্রী পৌঁছাতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এ ছাড়া, ৬০০ সেনা সদস্য, ১৯ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

খুলনা পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক ও পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম সব ধরনের ভয়ের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

মাদারীপুর: মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে সরঞ্জামাদি। শনিবার দুপুরে স্ব স্ব উপজেলা থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মালামাল বুঝে নেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয় ভোটকেন্দ্রে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদারীপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৭৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ব্যতীত সব ধরনের সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র শিবচরে ৬টি কেন্দ্রে পদ্মার চরে হওয়ায় সেখানে ব্যালট পেপারও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বাকি ৩৭৩টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার রোববার সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মাদারীপুর-১ আসনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোতাহার হোসেন সিদ্দিক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন তোফাজ্জেল হোসেন খান। শিবচর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসন। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪২১ জন, ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮১ জন নারী ভোটার ও হিজড়া ৩ জন।

মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাজাহান খান, বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী সুবল চন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমন, জাতীয় পার্টির একেএম নুরুজ্জামান। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮ হাজার ৬১৮ জন। যেখানে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৮১০ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০২ জন ও হিজড়া ৬ জন ভোটার রয়েছে। আসনটি রাজৈর উপজেলার ১১টি ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নসহ মোট ২১টি ইউনিয়ন এবং মাদারীপুর ও রাজৈর পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম, জাতীয় পার্টি মো. আব্দুল খালেক, তৃণমূল বিএনপির প্রবীন হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী নকুল কুমার বিশ্বাস। কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৩ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৬০ জন। এ ছাড়া, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন।

মাদারীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, ভোট শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে কমিশনের। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেলে নির্বাচনি সরঞ্জামাদি। প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।

রংপুর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রংপুর। জেলার ছয় সংসদীয় আসনের ৮৫৮টি ভোটকেন্দ্র ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালট পেপার ছাড়া বাকি নির্বাচনি সব সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। তবে, রংপুর-১ আসনে গঙ্গাচড়ার তিস্তানদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের পাঁচটি দুর্গম কেন্দ্রে আজই পাঠানো হচ্ছে ব্যালট।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার থেকে রংপুর সদর উপজেলা ও মহানগরীর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনি সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মমিনুর আলম।

এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেল থেকে রংপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনস্থ ট্রেজারি থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যবহৃত গাড়িতে করে বিভিন্ন উপজেলায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচন সামগ্রী জেলা ছয়টি আসনের অধীন আট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হবে। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের আগে সকালেই ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

এদিকে, নির্বাচনকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো এলাকা। জেলায় এক হাজার ৬২০ জন পুলিশ সদস্য ও দশ হাজার আনছার সদস্য ছাড়াও, বিজিবি, র‍্যাব, নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত থাকছেন ভোটের মাঠে। এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বলেন, রংপুরের সংসদীয় ছয়টি আসনের ৮৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে জেলা পুলিশের অধীনে ৬৫৯টি এবং মেট্রোপলিটন ‍পুলিশের অধীনে ১৯৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলার ৬৫৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১৯টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশ-আনসারের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত টহল টিম থাকবে। একই সঙ্গে বাড়ানো হবে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ টিমের সংখ্যাও।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের আইজিপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করায় বদ্ধপরিকর। এ ঘোষণার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর মহানগর এলাকার মোট ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরপিএমপির ১ হাজার ১১৪ জন, পিটিসি রংপুরের ৭৮ জন, এপিবিএন’র ১৫০ জন এবং শিল্প পুলিশের ১২২ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৬৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা-ফোর্স এবং আনসার-ভিডিপির ২ হাজার ৩৮৮ জন সদস্য মহানগর এলাকার দায়িত্ব পালন করবে।

অন্যদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-১ আসনে ৯ জন, রংপুর-২ আসনে ৩ জন, রংপুর-৩ আসনে ৬ জন, রংপুর-৪ আসনে ৩ জন, রংপুর-৫ আসনে ৮ জন এবং রংপুর-৬ আসনে ৭ জনসহ মোট ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলায় মোট ভোটার ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার ৩৯৪ জন। পুরুষ ১২ লাখ ১২ হাজার ৮৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ২৪ জন ভোটার রয়েছে। জেলার মোট ৮৫৮টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ১৭৬টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলার ৮৫৮ কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনায় ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ কেন্দ্রে বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন থেকে গাইডলাইন দেওয়া আছে। আমরা সেই গাইডলাইন ফলো করব। তা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন আমরা সবই করব, সেই প্রস্তুতি আমাদের আছে।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। শনিবার বেলা ১১টা থেকে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, সিল, প্যাডসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হয়।

কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ৫৭৮টি কেন্দ্রে জেলার ৬টি উপজেলা থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২৪৬টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে স্ব স্ব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে।
নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনি যে কোনো সহায়তার জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে থাকবে সেনা সদস্যরাও।

৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ৩১ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ২ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কুষ্টিয়া জেলায় মোট ভোটার ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬ জন এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮ জন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে উপজেলা সদর থেকে কড়া নিরাপত্তায় এসব সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এসব ভোটের সামগ্রী গ্রহণ করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, সিল মোহরসহ অন্যান্য সামগ্রী। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।

আগামী কাল সকাল আটটা থেকে জেলার ছয়টি আসনের ৮৯৭টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ জন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবিসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। জেলার ছয়টি আসনে মোট ৪২জন প্রার্থী এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার আটটি সংসদীয় আসনের এক হাজার ৫৬টি কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার সকাল থেকে সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় থেকে সরাঞ্জামগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়াও, এসব নির্বাচনি এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় থেকে ভোটের সরঞ্জাম সরবরাহ পরিদর্শন করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম। এ সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসান বিন আলীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সদর উপজেলা থেকে ১৩০টি কেন্দ্রের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ভূঞাপুরের অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নে ১১টি ও একটি কালিহাতীসহ ১২টি কেন্দ্র দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় আগের দিন ব্যালট পাঠানো হবে। সেখানে ব্যালটের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। বাকি এক হাজার ৪৪টি কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র‌্যাব। এ ছাড়াও, ১২ হাজার ৬৭২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রে তিন জন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৭৬টি আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ২৪টি টিম।

আটটি আসনে মোট ভোটার ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯১৪ জন ও নারী ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩২ জন ও হিজড়া ২১ জন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি, টাঙ্গাইলের মানুষ ৭ জানুয়ারি উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়ে ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

সিলেট: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য সিলেটের সবকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সামগ্রী পাঠানো শুরু করেছে রিটার্নিং অফিস। শনিবার সকাল থেকে জেলার সব উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এসব নির্বাচনি মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। যথাসময়েই তা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। ব্যালট পেপার রাত ৩টায় প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে গণমাধ্যমের সম্মুখে হস্তান্তর করা হবে।

দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ কার্যালয়ে দেখা গেছে, এখান থেকে সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং অফিসাররা তাদের কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন নির্বাচনি সামগ্রী উত্তোলন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় নিজ নিজ কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের জন্য ফরম, স্টেশনারি, অমচোনীয় কালিসহ বিভিন্ন নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির দুটি আসনে নির্বাচনি সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে জেলার ২৩৭টি কেন্দ্রে এসব সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

পরে প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আনসার সদস্যদের নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ব্যালট ছাড়া অন্যান্য সকল সরঞ্জামাদি বিকেলের মধ্যেই সবগুলো কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ভোরে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-১ আসনে কেন্দ্র রয়েছে ৯০টি। আর সদর উপজেলা ও নলছিটি নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-২ আসনে কেন্দ্র রয়েছে ১৩৭টি। এ দুটি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬৪ জন।

নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে জেলার চারটি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর চারটি আসনের ৫০৭টি ভোটকেন্দ্রের ৩২০৪টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।। কেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার বেলা ১২টায় জেলার সকল উপজেলা পরিষদ থেকে ভোটগ্রহণের এসব সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তারা। তবে দুর্গম এলাকা ছাড়া কাছাকাছি ভোটকেন্দ্রে আগামীকাল ভোরে যাবে ব্যালট পেপার।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ১৪ লাখ ৯ হাজার ৫৩০ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ১২ হাজার ১৯২ ও নারী ভোটার ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩২২। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৬ জন। পটুয়াখালী-১ আসনের ৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৭ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী, পটুয়াখালী-২ আসনে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৪ জন ভোটারের বিপরীতে ৪ জন, পটুয়াখালী-৩ আসনে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৬১ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৮ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে মোতায়েন রয়েছে ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১০ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র‍্যাবের পেট্রোল টিম এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য।

রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। মাঠে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৩টি নির্বাচনি আসনের মোট ৪৬৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো শুরু হয়।

কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এসব সরঞ্জাম সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বুঝে নিচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম বিরতণ করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলায় অধিকতর দুর্গম কোন কেন্দ্র না থাকায় সব কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানো হবে আগামীকাল সকালে।

বান্দরবান: বান্দরবানের চার উপজেলার দুর্গম ১২টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টারে পাঠানো হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সরঞ্জাম। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা নির্বাচন অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলার ১২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার, ব্যবহৃত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠা‌নো হয়েছে।

কেন্দ্রগুলো হলো- থানচির দলিয়ানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেমাক্রি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় মদক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট মদক বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন্দু গ্রুপিংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইথোয়াইহ্লা কারবারীপাড়া বেস প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিন্নাপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমার নুন থিয়ার হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকনিয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিংলকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোয়াংছড়ির রোনিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলীকদমের কমচঙ ইয়ংছা মাওরুমপাড়া সরকারি প্রাথমিক।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৩ জন। ভোট কেন্দ্র ১৮২টি। এর মধ্যে, ৫১টি সাধারণ ও ১৫১টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে ৫০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে থাকবে সেনা সদস্যরাও। এছাড়া, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় ১৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

মাগুরা: রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

৬ জানুয়ারি বিকেলে মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণ ভোট গ্রহণের সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মাগুরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাগুরা সদর শ্রীপুর মোহাম্মদপুর শালীখা উপজেলা নিয়ে দুটি আসন গঠিত এখানে রয়েছে একটি পৌরসভা। তবে, এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৯৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা মাগুরা-১ ও ২ আসন মিলে মোট ৭ লাখ ভোটার।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের বেগ জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার বাদে সব সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।

চাঁদপুর: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুরের ৭০০ ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আসনের দুর্গম চরের মোট ২০টি ভোটকেন্দ্রেও রয়েছে।

শনিবার দুপুরের পর থেকে এসব সরঞ্জাম নির্ধারিত কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যালট পেপারসহ প্রতিটি কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, জেলার মোট ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চাঁদপুর-৩ আসনের দুর্গম চরে ১৮টি ভোটকেন্দ্র ও চাঁদপুর-২ আসনের দুর্গম চরে ২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বাকি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হলেও ব্যালট পেপার ভোট গ্রহণের দিন সকালে পৌঁছে দেওয়া হবে।

রাঙামাটি: ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এর আগে, রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনের নির্বাচনি সরঞ্জাম জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। তবে, ব্যালট পেপার পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

রাঙামাটি জেলা নির্বাচন সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে মোট ১৮টি দুর্গম (হেলিসর্টি) কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৬টি, বরকল উপজেলায় ২টি, জুরাছড়ি উপজেলায় ৭টি এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় ৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ১৮টি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৬০৭ জন। এসব কেন্দ্রগুলোতে বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাচনি সরঞ্জাম হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার ৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের শিজক দজর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১৪১৩ জন ভোটার, সাজেক ইউনিয়নের নিউ লংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০৭ জন, ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ২১৪২, ভূইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৫১ জন, বেটলিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৮৩ জন, শিয়ালদাই লুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫৮৪ জন। ভারত সীমান্তবর্তী বরকল উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের সিএম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩৪৮ জন, বরড় হরিণা ইউনিয়নের শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩৯০ জন, জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়নের শৈয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১৯৯ জন, মৈদং ইউনিয়নের শিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৪০৮ জন, মৈদং ইউনিয়নের ফকিরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ১৩৪১ জন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ফরেস্ট ভিলেজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৬২ জন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভূয়াতলীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪১ জন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের বরকলক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৩৮ জন, বগাখালী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২৩১ জন। বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের রাইমংছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৩৫ জন, বড়থলি ইউনিয়নের বড়থলি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭২৩ জন, প্রাং জাং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ৭১১ জন ভোটার।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে পৌঁছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন। কাল সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এ ছাড়া, রাঙামাটির দুর্গম এলাকার ১৮টি হেলিসটিতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পোঁছানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে ২১৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। বাকি ৮৪টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র আছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাঙামাটিতে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী-২৪ প্লাটুন, বিজিবি-৩৬ প্লাটুন, র‌্যাব-১ এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় আনসারের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ইতোপূর্বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির ১০ উপজেলা, ২ পৌরসভা আর ৫০টি ইউনিয়ন নিয়ে রাঙামাটি ২৯৯ নং আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৬ এবং মহিলা ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৬ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২১৩। তার মধ্যে চার উপজেলার ১৮টি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে, হেলিসটি কেন্দ্র বাঘাইছড়িতে ৬টি, বরকলে ২টি, জুরাছড়ি ৭টি এবং বিলাইছড়ি ৩টি। যেখানে মোট ভোটার ২৫ হাজার ৬০৭ জন। আসনটিতে এবার প্রার্থী হয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন দীপংকর তালুকদার, বাংলাদেশ সংস্কৃতি মুক্তিজোটের অমর কুমার দে (ছড়ি) ও তৃণমূল বিএনপির মো. মিজানুর রহমান (সোনালী আঁশ)।

নাটোর: নাটোরে চারটি সংসদীয় আসনের ৫৬৬টি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার নাটোরে ৭টি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণে নিয়োজিত প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে এসব নির্বাচনি সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক এবং নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিনা সাত্তার জানান, নাটোরের মোট চারটি আসনে ৫৬৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৫টিকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।

এসব ভোটকেন্দ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে একজন অফিসারসহ দুই জন পুলিশ এবং র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া, জেলায় ১৫ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ট্যাগস

কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম

আপডেট সময় ০৬:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, জামানত বই, রশিদ বই, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের ফরম।

৪ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর বিজি প্রেস (বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়) থেকে এসব সামগ্রী জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এরপর জেলা থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে এসব সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়। এর আগে, প্রতিটি জেলার নির্বাচন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের প্রতিনিধিকে বিজি প্রেসে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

খুলনা: খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার সকাল থেকে খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপার বাদে ভোট গ্রহণ সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। শনিবার দুপুর থেকেই কেন্দ্রগুলোতে এসব সামগ্রী পৌঁছাতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এ ছাড়া, ৬০০ সেনা সদস্য, ১৯ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

খুলনা পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক ও পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম সব ধরনের ভয়ের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

মাদারীপুর: মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনের নির্বাচনি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেছে সরঞ্জামাদি। শনিবার দুপুরে স্ব স্ব উপজেলা থেকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মালামাল বুঝে নেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় নিয়ে যাওয়া হয় ভোটকেন্দ্রে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদারীপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৭৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ব্যতীত সব ধরনের সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র শিবচরে ৬টি কেন্দ্রে পদ্মার চরে হওয়ায় সেখানে ব্যালট পেপারও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বাকি ৩৭৩টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার রোববার সকাল ৭টার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে। মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন দলের মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মাদারীপুর-১ আসনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোতাহার হোসেন সিদ্দিক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন তোফাজ্জেল হোসেন খান। শিবচর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ আসন। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ১ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪২১ জন, ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮১ জন নারী ভোটার ও হিজড়া ৩ জন।

মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাজাহান খান, বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের প্রার্থী সুবল চন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ইউসুফ আলী সুমন, জাতীয় পার্টির একেএম নুরুজ্জামান। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮ হাজার ৬১৮ জন। যেখানে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৮১০ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮০২ জন ও হিজড়া ৬ জন ভোটার রয়েছে। আসনটি রাজৈর উপজেলার ১১টি ও সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নসহ মোট ২১টি ইউনিয়ন এবং মাদারীপুর ও রাজৈর পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম, জাতীয় পার্টি মো. আব্দুল খালেক, তৃণমূল বিএনপির প্রবীন হালদার, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নিতাই চক্রবর্তী, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের প্রার্থী নকুল কুমার বিশ্বাস। কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং মাদারীপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৩ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৬০ জন। এ ছাড়া, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন।

মাদারীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, ভোট শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে কমিশনের। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে এসে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেলে নির্বাচনি সরঞ্জামাদি। প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।

রংপুর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রংপুর। জেলার ছয় সংসদীয় আসনের ৮৫৮টি ভোটকেন্দ্র ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালট পেপার ছাড়া বাকি নির্বাচনি সব সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। তবে, রংপুর-১ আসনে গঙ্গাচড়ার তিস্তানদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের পাঁচটি দুর্গম কেন্দ্রে আজই পাঠানো হচ্ছে ব্যালট।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার থেকে রংপুর সদর উপজেলা ও মহানগরীর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে নির্বাচনি সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মমিনুর আলম।

এর আগে, গত ৪ জানুয়ারি বুধবার বিকেল থেকে রংপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার অধীনস্থ ট্রেজারি থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যবহৃত গাড়িতে করে বিভিন্ন উপজেলায় ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ব্যালট পেপারসহ নির্বাচন সামগ্রী জেলা ছয়টি আসনের অধীন আট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হবে। নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের আগে সকালেই ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালটের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

এদিকে, নির্বাচনকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো এলাকা। জেলায় এক হাজার ৬২০ জন পুলিশ সদস্য ও দশ হাজার আনছার সদস্য ছাড়াও, বিজিবি, র‍্যাব, নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত থাকছেন ভোটের মাঠে। এলাকায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বলেন, রংপুরের সংসদীয় ছয়টি আসনের ৮৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে জেলা পুলিশের অধীনে ৬৫৯টি এবং মেট্রোপলিটন ‍পুলিশের অধীনে ১৯৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলার ৬৫৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১৯টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে পুলিশ-আনসারের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত টহল টিম থাকবে। একই সঙ্গে বাড়ানো হবে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ভ্রাম্যমাণ টিমের সংখ্যাও।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, নির্বাচন কমিশনার ও পুলিশের আইজিপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করায় বদ্ধপরিকর। এ ঘোষণার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুর মহানগর এলাকার মোট ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরপিএমপির ১ হাজার ১১৪ জন, পিটিসি রংপুরের ৭৮ জন, এপিবিএন’র ১৫০ জন এবং শিল্প পুলিশের ১২২ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৬৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা-ফোর্স এবং আনসার-ভিডিপির ২ হাজার ৩৮৮ জন সদস্য মহানগর এলাকার দায়িত্ব পালন করবে।

অন্যদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর-১ আসনে ৯ জন, রংপুর-২ আসনে ৩ জন, রংপুর-৩ আসনে ৬ জন, রংপুর-৪ আসনে ৩ জন, রংপুর-৫ আসনে ৮ জন এবং রংপুর-৬ আসনে ৭ জনসহ মোট ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলায় মোট ভোটার ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার ৩৯৪ জন। পুরুষ ১২ লাখ ১২ হাজার ৮৭ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ২৪ জন ভোটার রয়েছে। জেলার মোট ৮৫৮টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ১৭৬টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

রংপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলার ৮৫৮ কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনায় ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ কেন্দ্রে বা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন থেকে গাইডলাইন দেওয়া আছে। আমরা সেই গাইডলাইন ফলো করব। তা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যা প্রয়োজন আমরা সবই করব, সেই প্রস্তুতি আমাদের আছে।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। শনিবার বেলা ১১টা থেকে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স, সিল, প্যাডসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহ শুরু হয়।

কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ৫৭৮টি কেন্দ্রে জেলার ৬টি উপজেলা থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২৪৬টি কেন্দ্রে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে স্ব স্ব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে।
নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনি যে কোনো সহায়তার জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে থাকবে সেনা সদস্যরাও।

৪টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মোট ৩১ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ২ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কুষ্টিয়া জেলায় মোট ভোটার ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬ জন এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮ জন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে উপজেলা সদর থেকে কড়া নিরাপত্তায় এসব সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এসব ভোটের সামগ্রী গ্রহণ করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, সিল মোহরসহ অন্যান্য সামগ্রী। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।

আগামী কাল সকাল আটটা থেকে জেলার ছয়টি আসনের ৮৯৭টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ জন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবিসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। জেলার ছয়টি আসনে মোট ৪২জন প্রার্থী এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার আটটি সংসদীয় আসনের এক হাজার ৫৬টি কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার সকাল থেকে সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় থেকে সরাঞ্জামগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়াও, এসব নির্বাচনি এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় থেকে ভোটের সরঞ্জাম সরবরাহ পরিদর্শন করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম। এ সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাসান বিন আলীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সদর উপজেলা থেকে ১৩০টি কেন্দ্রের সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ভূঞাপুরের অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নে ১১টি ও একটি কালিহাতীসহ ১২টি কেন্দ্র দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় আগের দিন ব্যালট পাঠানো হবে। সেখানে ব্যালটের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। বাকি এক হাজার ৪৪টি কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ১২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র‌্যাব। এ ছাড়াও, ১২ হাজার ৬৭২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে প্রতিটি কেন্দ্রে তিন জন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে ৭৬টি আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে ২৪টি টিম।

আটটি আসনে মোট ভোটার ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৩৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯১৪ জন ও নারী ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩২ জন ও হিজড়া ২১ জন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করছি, টাঙ্গাইলের মানুষ ৭ জানুয়ারি উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়ে ইচ্ছেমত পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

সিলেট: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য সিলেটের সবকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সামগ্রী পাঠানো শুরু করেছে রিটার্নিং অফিস। শনিবার সকাল থেকে জেলার সব উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এসব নির্বাচনি মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরঞ্জাম পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। যথাসময়েই তা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। ব্যালট পেপার রাত ৩টায় প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে গণমাধ্যমের সম্মুখে হস্তান্তর করা হবে।

দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ কার্যালয়ে দেখা গেছে, এখান থেকে সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং অফিসাররা তাদের কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যালট বাক্সসহ বিভিন্ন নির্বাচনি সামগ্রী উত্তোলন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় নিজ নিজ কেন্দ্রে যাচ্ছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোট গ্রহণের জন্য ফরম, স্টেশনারি, অমচোনীয় কালিসহ বিভিন্ন নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির দুটি আসনে নির্বাচনি সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে জেলার ২৩৭টি কেন্দ্রে এসব সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে এসব সরঞ্জাম বুঝিয়ে দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

পরে প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আনসার সদস্যদের নিজ নিজ দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ব্যালট ছাড়া অন্যান্য সকল সরঞ্জামাদি বিকেলের মধ্যেই সবগুলো কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার ভোরে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-১ আসনে কেন্দ্র রয়েছে ৯০টি। আর সদর উপজেলা ও নলছিটি নিয়ে গঠিত ঝালকাঠি-২ আসনে কেন্দ্র রয়েছে ১৩৭টি। এ দুটি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬৪ জন।

নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে জেলার চারটি উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর চারটি আসনের ৫০৭টি ভোটকেন্দ্রের ৩২০৪টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।। কেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। শনিবার বেলা ১২টায় জেলার সকল উপজেলা পরিষদ থেকে ভোটগ্রহণের এসব সরঞ্জাম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তারা। তবে দুর্গম এলাকা ছাড়া কাছাকাছি ভোটকেন্দ্রে আগামীকাল ভোরে যাবে ব্যালট পেপার।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ১৪ লাখ ৯ হাজার ৫৩০ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ১২ হাজার ১৯২ ও নারী ভোটার ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩২২। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৬ জন। পটুয়াখালী-১ আসনের ৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৭ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী, পটুয়াখালী-২ আসনে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৪ জন ভোটারের বিপরীতে ৪ জন, পটুয়াখালী-৩ আসনে ৩ লাখ ৫২ হাজার ২৬১ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৮ জন ভোটারের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে মোতায়েন রয়েছে ৯ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ২২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১০ প্লাটুন বিজিবি, ১২টি র‍্যাবের পেট্রোল টিম এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য।

রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। মাঠে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ জেলার ৩টি নির্বাচনি আসনের মোট ৪৬৯টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম ভোট কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো শুরু হয়।

কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এসব সরঞ্জাম সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বুঝে নিচ্ছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম বিরতণ করেন।

মুন্সীগঞ্জ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলায় অধিকতর দুর্গম কোন কেন্দ্র না থাকায় সব কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পাঠানো হবে আগামীকাল সকালে।

বান্দরবান: বান্দরবানের চার উপজেলার দুর্গম ১২টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টারে পাঠানো হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সরঞ্জাম। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা নির্বাচন অফিসার এস এম শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম উপজেলার ১২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার, ব্যবহৃত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠা‌নো হয়েছে।

কেন্দ্রগুলো হলো- থানচির দলিয়ানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেমাক্রি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় মদক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট মদক বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন্দু গ্রুপিংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইথোয়াইহ্লা কারবারীপাড়া বেস প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিন্নাপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমার নুন থিয়ার হেডম্যানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকনিয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিংলকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোয়াংছড়ির রোনিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলীকদমের কমচঙ ইয়ংছা মাওরুমপাড়া সরকারি প্রাথমিক।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান জেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৬ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৩ জন। ভোট কেন্দ্র ১৮২টি। এর মধ্যে, ৫১টি সাধারণ ও ১৫১টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে ৫০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে থাকবে সেনা সদস্যরাও। এছাড়া, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় ১৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

মাগুরা: রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

৬ জানুয়ারি বিকেলে মাগুরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণ ভোট গ্রহণের সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মাগুরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাগুরা সদর শ্রীপুর মোহাম্মদপুর শালীখা উপজেলা নিয়ে দুটি আসন গঠিত এখানে রয়েছে একটি পৌরসভা। তবে, এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৯৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা মাগুরা-১ ও ২ আসন মিলে মোট ৭ লাখ ভোটার।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের বেগ জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যালট পেপার বাদে সব সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।

চাঁদপুর: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুরের ৭০০ ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আসনের দুর্গম চরের মোট ২০টি ভোটকেন্দ্রেও রয়েছে।

শনিবার দুপুরের পর থেকে এসব সরঞ্জাম নির্ধারিত কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ব্যালট পেপারসহ প্রতিটি কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, জেলার মোট ভোটকেন্দ্রের মধ্যে চাঁদপুর-৩ আসনের দুর্গম চরে ১৮টি ভোটকেন্দ্র ও চাঁদপুর-২ আসনের দুর্গম চরে ২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ব্যালট পেপারসহ সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বাকি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হলেও ব্যালট পেপার ভোট গ্রহণের দিন সকালে পৌঁছে দেওয়া হবে।

রাঙামাটি: ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এর আগে, রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনের নির্বাচনি সরঞ্জাম জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে কেন্দ্রে পৌঁছানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। তবে, ব্যালট পেপার পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।

রাঙামাটি জেলা নির্বাচন সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে মোট ১৮টি দুর্গম (হেলিসর্টি) কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৬টি, বরকল উপজেলায় ২টি, জুরাছড়ি উপজেলায় ৭টি এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় ৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ১৮টি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৬০৭ জন। এসব কেন্দ্রগুলোতে বুধ ও বৃহস্পতিবার নির্বাচনি সরঞ্জাম হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার ৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের শিজক দজর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১৪১৩ জন ভোটার, সাজেক ইউনিয়নের নিউ লংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০৭ জন, ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ২১৪২, ভূইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৫১ জন, বেটলিং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৮৩ জন, শিয়ালদাই লুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫৮৪ জন। ভারত সীমান্তবর্তী বরকল উপজেলার আইমাছড়া ইউনিয়নের সিএম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩৪৮ জন, বরড় হরিণা ইউনিয়নের শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩৯০ জন, জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়নের শৈয়ালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১৯৯ জন, মৈদং ইউনিয়নের শিলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২৪০৮ জন, মৈদং ইউনিয়নের ফকিরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ১৩৪১ জন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ফরেস্ট ভিলেজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৬২ জন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভূয়াতলীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৪১ জন, দুমদুম্যা ইউনিয়নের বরকলক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২৩৮ জন, বগাখালী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১২৩১ জন। বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের রাইমংছড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৩৫ জন, বড়থলি ইউনিয়নের বড়থলি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭২৩ জন, প্রাং জাং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছে ৭১১ জন ভোটার।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, ভোটকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসাররা কেন্দ্রে পৌঁছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করবেন। কাল সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এ ছাড়া, রাঙামাটির দুর্গম এলাকার ১৮টি হেলিসটিতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পোঁছানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে ২১৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। বাকি ৮৪টি সাধারণ ভোটকেন্দ্র আছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাঙামাটিতে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী-২৪ প্লাটুন, বিজিবি-৩৬ প্লাটুন, র‌্যাব-১ এবং প্রত্যেকটি উপজেলায় আনসারের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ইতোপূর্বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাঙামাটির ১০ উপজেলা, ২ পৌরসভা আর ৫০টি ইউনিয়ন নিয়ে রাঙামাটি ২৯৯ নং আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৪ জন। তার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৬ এবং মহিলা ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৬ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২১৩। তার মধ্যে চার উপজেলার ১৮টি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে, হেলিসটি কেন্দ্র বাঘাইছড়িতে ৬টি, বরকলে ২টি, জুরাছড়ি ৭টি এবং বিলাইছড়ি ৩টি। যেখানে মোট ভোটার ২৫ হাজার ৬০৭ জন। আসনটিতে এবার প্রার্থী হয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন দীপংকর তালুকদার, বাংলাদেশ সংস্কৃতি মুক্তিজোটের অমর কুমার দে (ছড়ি) ও তৃণমূল বিএনপির মো. মিজানুর রহমান (সোনালী আঁশ)।

নাটোর: নাটোরে চারটি সংসদীয় আসনের ৫৬৬টি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার নাটোরে ৭টি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোট গ্রহণে নিয়োজিত প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে এসব নির্বাচনি সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক এবং নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিনা সাত্তার জানান, নাটোরের মোট চারটি আসনে ৫৬৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৫টিকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।

এসব ভোটকেন্দ্রে স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে একজন অফিসারসহ দুই জন পুলিশ এবং র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া, জেলায় ১৫ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।