বেসরকারি স্কুল-কলেজে চুক্তির ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে জারি করা এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদন নিয়ে চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান-প্রধান নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। তবে, নীতিমালায় দেওয়া এ সুযোগের কার্যকারিতা স্থগিত করেছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ পরিপত্রটি প্রকাশ করা হয়। গত ১১ জানুয়ারি পরিপত্রে সই করেন সচিব সোলেমান খান।
স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১১.১১ অনুচ্ছেদে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছিল। এমপিও নীতিমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে, সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বোঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত পাবেন।
তবে, ঐতিহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোনও আর্থিক সুবিধা বা এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সব দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকার এর কোনও দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান-প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না।
তবে, এ প্রক্রিয়া স্থগিত করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।