চলমান অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের কৌশলকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন মুদ্রানীতি আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় জানুয়ারি-জুন মেয়াদের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই হবে এবারের মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড সভায় চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মুদ্রানীতির খসড়া অনুমোদন হয়েছে। ডলার সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হচ্ছে। এবারও নীতি সুদ হার আরও বাড়িয়ে টাকাকে আরও দামি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে সুদহার বেড়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। অন্যসব নীতি আগের মতোই চলবে। ডলার সংকট সহনীয় পর্যায়ে না আসায় বৈদেশিক মুদ্রার দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না এবারের মুদ্রানীতিতে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্দেশিত ‘ক্রলিং পেগ’পদ্ধতিতে ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন গভর্নর।
দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে ও আগামী জুনের মধ্যে তা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। গত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল, নভেম্বরের শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ডিসেম্বরে এসে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে। মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদহার কিছুটা বাজারভিত্তিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি নীতি সুদের হারও বাড়িয়েছে। এতে ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এদিকে তারল্য সংকট ও সুদহারের কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ তলানিতে নেমেছে। গত নভেম্বরে বেসরকারি খাতে ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ। ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের।