ঢাকা , রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রম আইনের গুরুত্ব আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 152

শ্রমিক ও নিয়োগদাতারা আলাপ-আলোচনা করে কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটা গ্রহণ করাই সমীচীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠক আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি এবং শ্রম আইন নিয়ে যেসব কাজ করছি, সেটার একটা ব্রিফিংয়ের জন্যই আজকের বৈঠকটি ছিল। আর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়কে কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন, সেটারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করব, তারপর আমি আপনাদের (সাংবাদিক) বলতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আপনাদের (সাংবাদিক) কোনো তথ্য দিতে পারব না।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সরকারপ্রধান, তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, তিনি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক। যে কারণে এ বিষয়ে তাকে আগে ব্রিফ করতে হবে।

সংশোধিত শ্রম আইন আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে এবং পাস হবে কি না— জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।

শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ আরও ভালো হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়— বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনার পরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করতে যে মনোযোগ এই সরকার দিয়েছে, এ রকম নজির অন্য কোনো দেশে দেখানো কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেল ১১ বছরে দেশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং উন্নত হয়েছে। সে কারণে যারা এ বিষয়ে কথা বলছেন, বিশেষ করে বিদেশিরা, আমার মনে হয়— ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে শ্রমিকদের যে অবস্থা ছিল, ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সেখান থেকে কী উন্নত হয়েছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনা করেই তাদের কথা বলা উচিত।

থ্রেশহোল্ড (টেড্র ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে আমরা একটি পরিবর্তন করেছি, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব। দেশের শ্রমিক ও নিয়োগদাতারা আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার দেশের পরিবেশের জন্য সেটিই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রম আইনের গুরুত্ব আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন

আপডেট সময় ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

শ্রমিক ও নিয়োগদাতারা আলাপ-আলোচনা করে কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটা গ্রহণ করাই সমীচীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠক আগামী মার্চে হবে। আমাদের যে অগ্রগতি এবং শ্রম আইন নিয়ে যেসব কাজ করছি, সেটার একটা ব্রিফিংয়ের জন্যই আজকের বৈঠকটি ছিল। আর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার নিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ মন্ত্রণালয়কে কতটা গুরুত্ব সহকারে দেখেন, সেটারই প্রতিফলন এটা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করব, তারপর আমি আপনাদের (সাংবাদিক) বলতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আপনাদের (সাংবাদিক) কোনো তথ্য দিতে পারব না।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সরকারপ্রধান, তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, তিনি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক। যে কারণে এ বিষয়ে তাকে আগে ব্রিফ করতে হবে।

সংশোধিত শ্রম আইন আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে এবং পাস হবে কি না— জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই উঠবে, অবশ্যই পাস হবে।

শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ আরও ভালো হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়— বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনার পরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নত করতে যে মনোযোগ এই সরকার দিয়েছে, এ রকম নজির অন্য কোনো দেশে দেখানো কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গেল ১১ বছরে দেশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং উন্নত হয়েছে। সে কারণে যারা এ বিষয়ে কথা বলছেন, বিশেষ করে বিদেশিরা, আমার মনে হয়— ২০০৩, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে শ্রমিকদের যে অবস্থা ছিল, ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সেখান থেকে কী উন্নত হয়েছে, সেটা বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনা করেই তাদের কথা বলা উচিত।

থ্রেশহোল্ড (টেড্র ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে আমরা একটি পরিবর্তন করেছি, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব। দেশের শ্রমিক ও নিয়োগদাতারা আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমার দেশের পরিবেশের জন্য সেটিই গ্রহণ করা সমীচীন হবে।