ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেই কক্ষে বসেই ভবিষ্যৎ জানালেন মাশরাফি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • 139

বছরের পর বছর যে পা নিয়ে ভুগছিলেন, সেই পা এখনও ভোগাচ্ছে। চারদিক থেকে ছুটে আসছে সমালোচনার বিষাক্ত বাণ। সঙ্গে দলের হ্যাট্রিক হার। তিন দিনই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনজুরি নিয়ে খেলা, একের পর এক পরাজয় তবুও সংবাদকর্মীদের প্রশ্নবাণ থেকে সতীর্থদের বাঁচিয়ে বারবার নিজেই বিদ্ধ হচ্ছেন।

সেই চিরচেনা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম লাক্কাতুরা চা বাগানের কোলঘেষা এই স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে ২০২০ সালের মার্চে অশ্রুসিক্ত চোখে ঘোষণা দিয়েছিলেন নেতৃত্ব ছাড়ার। এরপর পেরিয়ে গেছে চার বছর। এই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বসেই এবার নিজেই নিজের ভবিষ্যতের কথা বললেন। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাঁধ নেই। মাশরাফি নিজেই নিজের নিয়ন্ত্রক।

এখনই পা নিয়ে খেলা হয়ে যাচ্ছে কষ্টসাধ্য। আগামী বছরও কি এভাবে চালিয়ে যেতে যান কিনা। এমন প্রশ্নে মাশরাফির উত্তর, ‘(পরবর্তী বিপিএলে খেলা) হতে পারে। আমার পা যদি ঠিক থাকে হতে পারে। আমি আমার মতো করেই করতে চাই। এ বছর যদি ফুল…লাস্ট ইয়ারের মতো যদি ফুল খেলতে পারতাম, তাহলে চিন্তা করব। যেহেতু ফুল করতে পারছি না, আমি চিন্তা করবো পরে।’

নেতৃত্ব ছাড়ার সেই দিনের কথা স্মরণ করে মাশরাফি আরও বলেন, আমি ‘এই প্রেস কনফারেন্স রুম থেকেই অবসরে গিয়েছি। তখনও আমি বলেছি, আমি কিন্তু খেলব। আন্তর্জাতিক তো সেদিনই স্টপ করেছি। ঘরোয়া বা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দল কী চায়, সেটার ওপর নির্ভর করে। এখানে তো ক্যারিয়ারের বিষয় না। টিম ম্যানেজম্যান্ট যদি চায় তাহলে দলে নেবে।’

গত বছর সিলেটকে নিয়ে গিয়েছিলেন কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত। বল হাতে ছিলেন সামনের সারিতে। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। এবার সেই মাশরাফিকে দেখা যায়নি শেষ তিন ম্যাচ পর্যন্ত। বল হাতে এই প্রথম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করেছেন। মাত্র ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। এর আগে প্রথম ম্যাচে ২.৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন আর দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং করেননি। বলও করছেন শর্ট-রান আপে।

কীভাবে খেলছেন এমন অবস্থায়? ‘আমিতো বলেছিলাম আমি ক্রিকেট খেলব। আমি আমার ক্রিকেটকে উপভোগ করছি। এখন গত বছর পর্যন্ত আমার পায়ে কোনোরকম সমস্যা হয়নি। এই বছরে হঠাৎ চার মাস আগে ব্যথা অনুভব করি। আমি জানি না কী হয়েছে। ডাক্তার দেখিয়েছি, পরে বলেছে ছোট একটা অপারেশন লাগবে। আমি নিজেও চাইনি যেহেতু পুরো ফিট না। তবে ওই যে বললাম সব কিছু যদি কিন্তু থাকে। কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়ার ব্যাপার থাকে। খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছি আর কি।’

ট্যাগস

সেই কক্ষে বসেই ভবিষ্যৎ জানালেন মাশরাফি

আপডেট সময় ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

বছরের পর বছর যে পা নিয়ে ভুগছিলেন, সেই পা এখনও ভোগাচ্ছে। চারদিক থেকে ছুটে আসছে সমালোচনার বিষাক্ত বাণ। সঙ্গে দলের হ্যাট্রিক হার। তিন দিনই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইনজুরি নিয়ে খেলা, একের পর এক পরাজয় তবুও সংবাদকর্মীদের প্রশ্নবাণ থেকে সতীর্থদের বাঁচিয়ে বারবার নিজেই বিদ্ধ হচ্ছেন।

সেই চিরচেনা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সবুজে ঘেরা নয়নাভিরাম লাক্কাতুরা চা বাগানের কোলঘেষা এই স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থেকে ২০২০ সালের মার্চে অশ্রুসিক্ত চোখে ঘোষণা দিয়েছিলেন নেতৃত্ব ছাড়ার। এরপর পেরিয়ে গেছে চার বছর। এই সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বসেই এবার নিজেই নিজের ভবিষ্যতের কথা বললেন। এখানে কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার বাঁধ নেই। মাশরাফি নিজেই নিজের নিয়ন্ত্রক।

এখনই পা নিয়ে খেলা হয়ে যাচ্ছে কষ্টসাধ্য। আগামী বছরও কি এভাবে চালিয়ে যেতে যান কিনা। এমন প্রশ্নে মাশরাফির উত্তর, ‘(পরবর্তী বিপিএলে খেলা) হতে পারে। আমার পা যদি ঠিক থাকে হতে পারে। আমি আমার মতো করেই করতে চাই। এ বছর যদি ফুল…লাস্ট ইয়ারের মতো যদি ফুল খেলতে পারতাম, তাহলে চিন্তা করব। যেহেতু ফুল করতে পারছি না, আমি চিন্তা করবো পরে।’

নেতৃত্ব ছাড়ার সেই দিনের কথা স্মরণ করে মাশরাফি আরও বলেন, আমি ‘এই প্রেস কনফারেন্স রুম থেকেই অবসরে গিয়েছি। তখনও আমি বলেছি, আমি কিন্তু খেলব। আন্তর্জাতিক তো সেদিনই স্টপ করেছি। ঘরোয়া বা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দল কী চায়, সেটার ওপর নির্ভর করে। এখানে তো ক্যারিয়ারের বিষয় না। টিম ম্যানেজম্যান্ট যদি চায় তাহলে দলে নেবে।’

গত বছর সিলেটকে নিয়ে গিয়েছিলেন কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত। বল হাতে ছিলেন সামনের সারিতে। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। এবার সেই মাশরাফিকে দেখা যায়নি শেষ তিন ম্যাচ পর্যন্ত। বল হাতে এই প্রথম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করেছেন। মাত্র ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। এর আগে প্রথম ম্যাচে ২.৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন আর দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং করেননি। বলও করছেন শর্ট-রান আপে।

কীভাবে খেলছেন এমন অবস্থায়? ‘আমিতো বলেছিলাম আমি ক্রিকেট খেলব। আমি আমার ক্রিকেটকে উপভোগ করছি। এখন গত বছর পর্যন্ত আমার পায়ে কোনোরকম সমস্যা হয়নি। এই বছরে হঠাৎ চার মাস আগে ব্যথা অনুভব করি। আমি জানি না কী হয়েছে। ডাক্তার দেখিয়েছি, পরে বলেছে ছোট একটা অপারেশন লাগবে। আমি নিজেও চাইনি যেহেতু পুরো ফিট না। তবে ওই যে বললাম সব কিছু যদি কিন্তু থাকে। কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়ার ব্যাপার থাকে। খেলাটা চালিয়ে যাচ্ছি আর কি।’