ই-বুকের এই যুগেও হারিয়ে যায়নি ছাপানো বইয়ের আবেদন। বরং বিশ্বব্যাপী দিন দিন বড় হচ্ছে কাগজে ছাপানো বইয়ের বাজার। পরিসংখ্যান বলছে, গেলো এক দশকে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ছাপানো বইয়ের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। ছাপানো বইয়ের ব্যবসায় এই মূহুর্তে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই আছে যুক্তরাজ্য ও চীন।
প্যাপিরাসের পাতার বই থেকে ই-বুক, অডিওবুক। সময়ের বিবর্তনে এমন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বইয়ের বাজার। তবে ই-বুক অথবা অডিওবুকের মতো সহজ মাধ্যম আসার পরও পাঠকের কাছে এখনও কোনও অংশে কমেনি ছাপানো বইয়ের আকর্ষণ। বরং গেলো ১০ বছরে ছাপানো বইয়ের বিক্রি বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে বৈশ্বিক ছাপানো বইয়ের বাজার ছিল ১৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০২৩-এ যা এসে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ বিলিয়নে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ছাপানো বইয়ের বাজার ২০৩০ নাগাদ তা দাঁড়াবে ১৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। অন্যদিকে, একই সময়ে ডিজিটাল প্রকাশনার বাজার ছিল ২৫ বিলিয়ন। ২০৩০-এ যা পৌঁছাতে পারে ৩৮ বিলিয়নে।
করোনা মহামারীর দুই বছরে অন্যান্য সব পণ্যের বাজারে মন্দা দেখা দিলেও বেড়েছিল ছাপানো বইয়ের চাহিদা। আগের বছরগুলোর তুলনায় সেসময় বই বিক্রি বেড়েছিল ২২ শতাংশ। ছাপানো বইয়ের বাজারে সবার চেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে দেশটিতে ৭৮৮ মিলিয়ন কপি ছাপানো বই বিক্রি হয়েছে। এরপরেই যুক্তরাজ্য ও চীনের অবস্থান।
বাংলাদেশেও রয়েছে ছাপানো বই নিয়ে উন্মাদনা। ফেব্রুয়ারিজুড়ে চলে বইমেলা। ২০২৩ সালের মেলায় ৪৭ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এ বছর এই অঙ্ক আরও বড় হবে বলেই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।