ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একবছরে ২৭ হাজারের বেশি দুর্ঘটনা, বিড়ি ও চুলা থেকে আগুনে ঘটনা বেশি

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 151

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সারাদেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আর দিনে গড়ে ৭৭টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এসব ঘটনায় সারাদেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হয়েছেন।

সে সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসলাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটেছে।

তিনি জানান, ২০২৩ সালে সারাদেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে। যা দিনে গড়ে ৭৭টি ঘটনা। এ আগুন লাগার ঘটনায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসলাইন থেকে বেশি ঘটেছে। সারাদেশে এসব অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যেমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করে।

কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬ শতাংশ), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪ শতাংশ), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯ শতাংশ), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫ শতাংশ) এবং বাজি ফোটানো থেকে ৮৭টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসা বাড়ি-আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, যা মোট আগুনের ২৫.১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্নাঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাটবাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

পরিবহনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌযানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩ হাজার ৩৩৪টি), এপ্রিল (৩ হাজার ১৪১টি), মে (৩ হাজার ২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ হাজার ৭১৩টি, জুন মাসে ২ হাজার ৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুন লাগার ঘটনা কম ঘটে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী।

ট্যাগস

একবছরে ২৭ হাজারের বেশি দুর্ঘটনা, বিড়ি ও চুলা থেকে আগুনে ঘটনা বেশি

আপডেট সময় ০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সদ্য বিদায়ী ২০২৩ সালে সারাদেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। আর দিনে গড়ে ৭৭টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এসব ঘটনায় সারাদেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হয়েছেন।

সে সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসলাইন থেকে আগুন লাগার ঘটনা বেশি ঘটেছে।

তিনি জানান, ২০২৩ সালে সারাদেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে। যা দিনে গড়ে ৭৭টি ঘটনা। এ আগুন লাগার ঘটনায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসলাইন থেকে বেশি ঘটেছে। সারাদেশে এসব অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যেমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করে।

কারণ ভিত্তিক পরিসংখ্যানে ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২ শতাংশ), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬ শতাংশ), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪ শতাংশ), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯ শতাংশ), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫ শতাংশ) এবং বাজি ফোটানো থেকে ৮৭টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসা বাড়ি-আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, যা মোট আগুনের ২৫.১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্নাঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাটবাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

পরিবহনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌযানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩ হাজার ৩৩৪টি), এপ্রিল (৩ হাজার ১৪১টি), মে (৩ হাজার ২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ হাজার ৭১৩টি, জুন মাসে ২ হাজার ৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুন লাগার ঘটনা কম ঘটে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী।