পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে ফলাফল মিলেছে, তাতে দেখা গেছে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ২৫০ আসনের ফলাফলে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭১টি আসন, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন।
ইমরান খান প্রায় ১০ মাস ধরে কারাবন্দি। তিন মামলায় ২৪ বছর সাজা হয়েছে তার। নির্বাচনে তার দলের প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দলের নেতাদের নির্বাচন করতে হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। প্রচার–প্রচারণায় ছিল নানা প্রতিবন্ধকতা। এরপরও নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থীরা।
কেন এই বিপুল সমর্থন? বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিতে সেনার প্রভাব আর বোধ হয় চাইছেন না পাকিস্তানের মানুষ, বিশেষত তরুণ প্রজন্ম। পাশাপাশি গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে চরম মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে পাকিস্তানে, তা নিয়েও কার্যত হতাশ সে দেশের একটা বড় অংশের নাগরিক। এরই মধ্যে আরও বিক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইমরান খানের তিন জেল হেফাজতের নির্দেশ। সব মিলিয়ে ভোট নিজের দিকে টানছেন ইমরান।
‘আমার জীবনের প্রথম ভোটটা ইমরান খানের জন্য দিতে পেরে আমি খুশি।’ এমনটাই বলেছেন পাকিস্তানের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রী, বছর ২১-এর নায়াবা আখতার। শুধু নায়াবা নন, এমন অনেক তরুণ-তরুণীই গর্বের সঙ্গে বলছেন, তারা ইমরানকেই সমর্থন করেন।
অনেক ভোটার মনে করছেন, যা ফলাফল হয়েছে তাতে সামরিক বাহিনী ভয় পেতে শুরু করেছে। আবার কেউ কেউ ইমরান খানকে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গেও তুলনা করেছেন। তারা বলছেন, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো অনেক নেতাই জেলে কাটিয়েছেন। অনেক কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু পরিবর্তন আসবেই।