ঢাকা , রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরান খানের সমর্থকদের আটক করছে পুলিশ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 138

নির্বাচনের বিতর্কিত ফলের পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীরা বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমেছে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে। তবে বেশ কয়েকটি স্থানে পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লাহোরে পিটিআই সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা দেখানোর জন্য লিবার্টি চকে সমাবেশ করে। এক পর্যায়ে সমাবেশ থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং আট জনকে আটক করে। এরপর বিক্ষোভ আরও তীব্র রুপ নেয়।

এছাড়াও শহরের অন্য জায়গায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন শেহজাদ ফারুক নামের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি পিএমএল-এন এর মরিয়ম নওয়াজের কাছে হেরেছিলেন। গ্রেপ্তারের আগে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলেন বলে দাবি করেন ফারুক।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরে পিটিআই একটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়।

পিটিআই বলেছে, বিক্ষোভকারীদের উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এখান থেকে পরে সহিংসতার সম্ভাবনা ছিল। আর সহিংসতা হলে দায়ী করা হতো ইমরান খানকে। যারা বিক্ষোভ স্থগিতের সংবাদ পায়নি তাদের অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন। পরে তাদের কাউকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় আর কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে।

অন্তত তিনজন বিক্ষোভকারীকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা। অপরদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের চারটি প্রিজন ভ্যান উপস্থিত থাকার বিষয়ও নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। পুলিশের জলকামানও ছিল সেখানে।

দায়িত্বরত পুলিশের কাছে তার নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তর না দিয়ে চলে যান বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ট্যাগস

ইমরান খানের সমর্থকদের আটক করছে পুলিশ

আপডেট সময় ০৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নির্বাচনের বিতর্কিত ফলের পর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীরা বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমেছে। অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারা ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছে। তবে বেশ কয়েকটি স্থানে পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লাহোরে পিটিআই সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা দেখানোর জন্য লিবার্টি চকে সমাবেশ করে। এক পর্যায়ে সমাবেশ থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং আট জনকে আটক করে। এরপর বিক্ষোভ আরও তীব্র রুপ নেয়।

এছাড়াও শহরের অন্য জায়গায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন শেহজাদ ফারুক নামের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি পিএমএল-এন এর মরিয়ম নওয়াজের কাছে হেরেছিলেন। গ্রেপ্তারের আগে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিলেন বলে দাবি করেন ফারুক।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরে পিটিআই একটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেখানে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়।

পিটিআই বলেছে, বিক্ষোভকারীদের উসকে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এখান থেকে পরে সহিংসতার সম্ভাবনা ছিল। আর সহিংসতা হলে দায়ী করা হতো ইমরান খানকে। যারা বিক্ষোভ স্থগিতের সংবাদ পায়নি তাদের অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন। পরে তাদের কাউকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় আর কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে।

অন্তত তিনজন বিক্ষোভকারীকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা। অপরদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের চারটি প্রিজন ভ্যান উপস্থিত থাকার বিষয়ও নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। পুলিশের জলকামানও ছিল সেখানে।

দায়িত্বরত পুলিশের কাছে তার নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি উত্তর না দিয়ে চলে যান বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।