সাড়ে তিন মাসের চেয়েও বেশি সময় ধরে কারাগারে বিএনপি শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন। আর স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ২ নভেম্বর গুলশান থেকে গ্রেফতার হন।
সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নেতাকর্মীদের প্রশ্ন জামিন পেলেও তারা কি মুক্তি পাচ্ছেন? তবে তাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন ফখরুল-খসরুর মুক্তিতে বাধা নেই।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে এ আদেশ দেন।
এ মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এ মামলায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে বিকেল ৩ টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনার পর গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারের পর মির্জা ফখরুল বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমির খসরুর বিরুদ্ধে দশ মামলা করা হয়। এ মামলা ছাড়া তারা সব মামলাই জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় জামিন পেলে তাদের মুক্তিতে বাধা থাকবে না।