নরসিংদীতে সাবেক স্ত্রী রুনা বেগমকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী রওশন মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
এর আগে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রুনা বেগম (৪৫) নরসিংদী পৌর এলাকার দত্তপাড়া মহল্লার আব্দুল করিমের মেয়ে। তিনি হাজীপুর এলাকার ভাড়াটিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার দুলারামপুর এলাকার জীবন মিয়ার ছেলে রওশন মিয়ার (৫০) সাবেক স্ত্রী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, শহরতলীর হাজীপুরে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। হাজীপুরের বেঙ্গল নদীঘাট দিয়ে মেঘনা নদীতে নৌকাযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে পালানোর চেষ্টা করলে নৌকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত স্বামী রওশন। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বামীর একাধিক বিয়ে করাসহ পারিবারিক কলহের জের ধরে দুবছর আগে স্বামী রৌশন মিয়াকে তালাক দেন রুনা বেগম। এরপর থেকে নরসিংদী বাজারের বিভিন্ন দোকানে পানি সরবরাহ করে ৩ সন্তান ২ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্ত্রী রুনা বেগম।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কৌশলে ফুসলিয়ে সাবেক স্ত্রী রুনাকে তার হাজীপুরের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখানেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান।
সেখান থেকে স্থানীয়রা রুনাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই নিহতের ভাই মো. সাহাউদ্দিন বাদী হয়ে রওশনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।