ঢাকা , রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে কোন্দল, নির্বাচন ঘিরে বিভাজন আওয়ামী লীগে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 147

নির্বাচন ঘিরে বিভাজন বাড়ছে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগে। জাতীয় নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দেওয়ায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে কাজ করেন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। কেউ দলীয় প্রার্থী কেউ স্বতন্ত্রপ্রার্থীর হয়ে রয়েছেন মাঠে। টানা দুই নির্বাচনে এ অবস্থানের প্রভাব ভবিষ্যতেও দলে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কর্মী-সমর্থকরা।

তবে দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন সাময়িক। এতে দল দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। নির্বাচন ঘিরে বিভক্তি নির্বাচনের পর থাকবে না। পরবর্তীসময়ে সবাই একসঙ্গে কর্মসূচি ও প্রাত্যহিক কাজগুলো করবো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিতুর রহমানকে (শান্ত) মনোনয়ন দেয় দলটি। একই সঙ্গে নির্বাচন জমজমাট করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। যে কারণে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হন দলটির সহ-সভাপতি শামীম হক। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র ইকরামুল হক টিটুর বড় ভাই। সঙ্গত কারণেই টিটু বড় ভাইয়ের পক্ষে জাতীয় নির্বাচনে কাজ করেন। তবে ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক মোহিতুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।

আমাদের এখানে জাতীয় নির্বাচন থেকে এ সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন, তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।- ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম

আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট। এটিও উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে এরই মধ্যে বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির একজন ছাড়া বাকি পাঁচজন আওয়ামী লীগের বড় পদধারী নেতা। এমনকি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও আছেন প্রার্থিতায়।

এ নির্বাচনে নিজ দলীয় একাধিক প্রার্থী হওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভাজন। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন ঘিরে টিটু-শান্তর বিরোধপূর্ণ অবস্থানও সামনে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, শান্ত নির্বাচনে মেয়র টিটুর বিরুদ্ধে অন্য কাউকে সমর্থন দেবেন। যদিও এ নিয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ পরিস্থিতিতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সভাপতিসহ একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় অনেক নেতাকর্মী বিভক্ত। সমর্থকদের মধ্যে বিভাজন ‍দৃশ্যমান হচ্ছে। বিব্রত অবস্থায় আছেন অনেক সিনিয়র নেতাও।

এ নিয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমরা আদর্শিক রাজনীতি করি। আমরা প্রত্যেকে তার অবস্থান থেকে মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অভিভাবক। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেটি মাথায় নিয়ে আমরা কাজ করি। সঙ্গত কারণে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা উত্তাপ উত্তেজনা থাকতেই পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, অধিকাংশ নেতাকর্মী এই মনোভাব- ভোটে আমরা অবশ্যই আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবো।’

কোন্দল জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। এত বড় দলে কোন্দল তো থাকবেই। আমরা আশা করবো, কোন্দল যাতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে থেকে হয়। সবার মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। উগ্রতা যেন না থাকে। উভয়পক্ষের মধ্যে এখনো বাড়াবাড়ি আছে, এটা যেন আর না বাড়ে খেয়াল রাখতে হবে।- জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আজাদ জাহান শামীম

‘এরপর আমাদের প্রাত্যহিক কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। সাংগঠনিক কাজও সেভাবে করবো। আমি বিশ্বাস করি, এটি আমাদের জন্য খুব বেশি সমস্যা নয়। নির্বাচন পরবর্তীসময়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচি পালন করবো। আমি মনে করি রাজনীতি ও নির্বাচন সাংঘর্ষিক নয়।’

দলীয় বিভাজন ও কোন্দল নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম বলেন, ‘আমাদের এখানে জাতীয় নির্বাচন থেকে এই সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন, তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।’

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আজাদ জাহান শামীম বলেন, ‘কোন্দল জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। এত বড় দলে কোন্দল তো থাকবেই। আমরা আশা করবো, কোন্দল যাতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে থেকে হয়। সবার মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। উগ্রতা যেন না থাকে। উভয়পক্ষের মধ্যে এখনো বাড়াবাড়ি আছে, এটা যেন আর না বাড়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘোষণার পরে দ্বিতীয়বার ভোট হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে। তবে মেয়র পদে প্রথমবারের মতো ভোট হচ্ছে। গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তৎকালীন পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটু। এবার মেয়র টিটুসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ এবং জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু, ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফারমার্জ আল নূর রাজীব এবং জাতীয় পার্টির শহীদুল ইসলাম।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বাড়ছে কোন্দল, নির্বাচন ঘিরে বিভাজন আওয়ামী লীগে

আপডেট সময় ১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নির্বাচন ঘিরে বিভাজন বাড়ছে ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগে। জাতীয় নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের উন্মুক্ত করে দেওয়ায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে কাজ করেন। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। কেউ দলীয় প্রার্থী কেউ স্বতন্ত্রপ্রার্থীর হয়ে রয়েছেন মাঠে। টানা দুই নির্বাচনে এ অবস্থানের প্রভাব ভবিষ্যতেও দলে থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কর্মী-সমর্থকরা।

তবে দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচন সাময়িক। এতে দল দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। নির্বাচন ঘিরে বিভক্তি নির্বাচনের পর থাকবে না। পরবর্তীসময়ে সবাই একসঙ্গে কর্মসূচি ও প্রাত্যহিক কাজগুলো করবো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিতুর রহমানকে (শান্ত) মনোনয়ন দেয় দলটি। একই সঙ্গে নির্বাচন জমজমাট করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। যে কারণে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হন দলটির সহ-সভাপতি শামীম হক। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র ইকরামুল হক টিটুর বড় ভাই। সঙ্গত কারণেই টিটু বড় ভাইয়ের পক্ষে জাতীয় নির্বাচনে কাজ করেন। তবে ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক মোহিতুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন।

আমাদের এখানে জাতীয় নির্বাচন থেকে এ সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন, তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।- ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম

আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট। এটিও উন্মুক্ত করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কাউকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে এরই মধ্যে বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটুসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির একজন ছাড়া বাকি পাঁচজন আওয়ামী লীগের বড় পদধারী নেতা। এমনকি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও আছেন প্রার্থিতায়।

এ নির্বাচনে নিজ দলীয় একাধিক প্রার্থী হওয়ায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভাজন। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন ঘিরে টিটু-শান্তর বিরোধপূর্ণ অবস্থানও সামনে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, শান্ত নির্বাচনে মেয়র টিটুর বিরুদ্ধে অন্য কাউকে সমর্থন দেবেন। যদিও এ নিয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শান্তর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ পরিস্থিতিতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সভাপতিসহ একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় অনেক নেতাকর্মী বিভক্ত। সমর্থকদের মধ্যে বিভাজন ‍দৃশ্যমান হচ্ছে। বিব্রত অবস্থায় আছেন অনেক সিনিয়র নেতাও।

এ নিয়ে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘আমরা আদর্শিক রাজনীতি করি। আমরা প্রত্যেকে তার অবস্থান থেকে মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অভিভাবক। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেটি মাথায় নিয়ে আমরা কাজ করি। সঙ্গত কারণে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা উত্তাপ উত্তেজনা থাকতেই পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, অধিকাংশ নেতাকর্মী এই মনোভাব- ভোটে আমরা অবশ্যই আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবো।’

কোন্দল জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। এত বড় দলে কোন্দল তো থাকবেই। আমরা আশা করবো, কোন্দল যাতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে থেকে হয়। সবার মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। উগ্রতা যেন না থাকে। উভয়পক্ষের মধ্যে এখনো বাড়াবাড়ি আছে, এটা যেন আর না বাড়ে খেয়াল রাখতে হবে।- জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আজাদ জাহান শামীম

‘এরপর আমাদের প্রাত্যহিক কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। সাংগঠনিক কাজও সেভাবে করবো। আমি বিশ্বাস করি, এটি আমাদের জন্য খুব বেশি সমস্যা নয়। নির্বাচন পরবর্তীসময়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও কর্মসূচি পালন করবো। আমি মনে করি রাজনীতি ও নির্বাচন সাংঘর্ষিক নয়।’

দলীয় বিভাজন ও কোন্দল নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম বলেন, ‘আমাদের এখানে জাতীয় নির্বাচন থেকে এই সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন, তিনি যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করবো।’

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আজাদ জাহান শামীম বলেন, ‘কোন্দল জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু হয়েছে। এত বড় দলে কোন্দল তো থাকবেই। আমরা আশা করবো, কোন্দল যাতে রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে থেকে হয়। সবার মধ্যে সহনশীলতা থাকতে হবে। উগ্রতা যেন না থাকে। উভয়পক্ষের মধ্যে এখনো বাড়াবাড়ি আছে, এটা যেন আর না বাড়ে খেয়াল রাখতে হবে।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘোষণার পরে দ্বিতীয়বার ভোট হচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে। তবে মেয়র পদে প্রথমবারের মতো ভোট হচ্ছে। গতবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তৎকালীন পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটু। এবার মেয়র টিটুসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ এবং জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম, ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু, ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক গোলাম ফেরদৌস জিলু, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফারমার্জ আল নূর রাজীব এবং জাতীয় পার্টির শহীদুল ইসলাম।