ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ায় জমিতে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছে

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • 132

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ায় জমিতে ১০০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এই রসুন বাজারে নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা করে।শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে কালিদাসখালী চরে জমিতে থেকে তুলে জমিতেই দাড়ি দিয়ে ওজন করে দেওয়া হয়।

কালিদাসখালী চরের কৃষক মিলন শেখ বলেন, তিনি ১০ কাঠা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন। তিন মাসে তার বীজ, সার, সেচসহ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে তার দেড় লাখ টাকা বিক্রি করবেন।

ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান জমিতে লেবার দিয়ে রসুন উঠিয়ে ওজন করে নেন। প্রতি কেজি ১০০ টাকা। প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা। তিনি বলেন, যাতায়াত খরচসহ আমি ১৫০ টাকা দরে বাঘা ও আড়ানী হাটে বিক্রি করব।

কালিদাসখালী চরের গোলাম মোস্তফা বলেন, এবার প্রচুর পরিমাণ রসুন আবাদ হয়েছে। আমি নিজেও বাড়ির আঙ্গিনায় রসুন আবাদ করেছি। আসা করছি ফলন ভাল হবে।

পলাশিফতেপুর চরের রেজাউল ইসলাম বলেন, পদ্মার চরে তিন বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছি। গেঢ়, সার, বীজসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা জমি থেকে বিক্রি করব আশা করছি।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়া বলেন, পদ্মার চরে প্রচুর পরিমাণে রসুনসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়। এগুলো ব্যবসায়ীরা জমি থেকে নিয়ে যায়। কৃষকদের হাটে আর নিয়ে যাওয়া লাগে না। এখান থেকে বিক্রি করে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এবার উপজেলায় ৯৩৪ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মার চরে অর্ধেক রসুনের আবাদ করা হয়েছে। এ রসুন স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান করা হয়।

ট্যাগস

রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ায় জমিতে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছে

আপডেট সময় ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে রসুনের বাম্পার ফলন হওয়ায় জমিতে ১০০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এই রসুন বাজারে নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা করে।শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে কালিদাসখালী চরে জমিতে থেকে তুলে জমিতেই দাড়ি দিয়ে ওজন করে দেওয়া হয়।

কালিদাসখালী চরের কৃষক মিলন শেখ বলেন, তিনি ১০ কাঠা জমিতে রসুন আবাদ করেছেন। তিন মাসে তার বীজ, সার, সেচসহ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে তার দেড় লাখ টাকা বিক্রি করবেন।

ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান জমিতে লেবার দিয়ে রসুন উঠিয়ে ওজন করে নেন। প্রতি কেজি ১০০ টাকা। প্রতি মণ ৪ হাজার টাকা। তিনি বলেন, যাতায়াত খরচসহ আমি ১৫০ টাকা দরে বাঘা ও আড়ানী হাটে বিক্রি করব।

কালিদাসখালী চরের গোলাম মোস্তফা বলেন, এবার প্রচুর পরিমাণ রসুন আবাদ হয়েছে। আমি নিজেও বাড়ির আঙ্গিনায় রসুন আবাদ করেছি। আসা করছি ফলন ভাল হবে।

পলাশিফতেপুর চরের রেজাউল ইসলাম বলেন, পদ্মার চরে তিন বিঘা জমিতে রসুন আবাদ করেছি। গেঢ়, সার, বীজসহ প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা জমি থেকে বিক্রি করব আশা করছি।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়া বলেন, পদ্মার চরে প্রচুর পরিমাণে রসুনসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়। এগুলো ব্যবসায়ীরা জমি থেকে নিয়ে যায়। কৃষকদের হাটে আর নিয়ে যাওয়া লাগে না। এখান থেকে বিক্রি করে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এবার উপজেলায় ৯৩৪ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে পদ্মার চরে অর্ধেক রসুনের আবাদ করা হয়েছে। এ রসুন স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় চালান করা হয়।