হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ভারতীয় বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীকে। শারীরিক কী সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সব্যসাচী সে বিষয়ে কিছু জানাননি তার পরিবার।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যম সব্যসাচীর স্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন খুব ব্যস্ত। পরিস্থিতি দেখে পরে মন্তব্য করব।’
নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করায় আজ সকালে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সব্যসাচীকে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়ম মুখার্জির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফেলুদা।সব্যসাচীর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে, পেসমেকার বসাতে হবে। এই মুহূর্তে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সব্যসাচী। ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। হংসরাজ কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে দিল্লিতে এএমআই পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে গৌরব ও অর্জুন নামে দুই ছেলে রয়েছে।
১৯৯২ সালে অভিনয়ে নাম লেখান সব্যসাচী। ‘তেরো পার্বন’ টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘রুদ্রসেনের ডায়েরি’ টিভি সিরিয়ালে প্রথম গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।
সব্যসাচীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে: সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা’, সন্দীপ রায়ের ‘বাক্স রহস্য’। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অন্তর্ধান’। এছাড়াও তার অভিনীত সিনেমা হলো: ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘তিনকাহন’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’, ‘ল্যাবরেটরি’, ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ প্রভৃতি। অভিনয় ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে। তিনি একজন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।