ভারতের পাঞ্জাবে বিষাক্ত মদকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও কয়েক জন। জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত বুধবার পাঞ্জাবের সাংরুরে বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪০ জনের বেশি। এই ঘটনার পর সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই বেআইনি মদের কারবার রমরমিয়ে চলছিল। এই কারবার বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসীরা উদ্যোগও নেন। কিন্তু খুব একটা ফলপ্রসূ হননি।
বেআইনি মদের কারবার তো রয়েইছে, তার সঙ্গে মদ্যেপদের দৌরাত্ম্যও দিনে দিনে বাড়ছিল এলাকায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েক জন মদ্যপানের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
বিষাক্ত মদকাণ্ডে এখন পর্যন্ত পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বেআইনি মদ কারবারি চক্রের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। গ্রেফতারদের জেরা করে একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের দাবি ওই বাড়িতেই নাকি বিষাক্ত মদ তৈরি হতো। পুলিশ সেই খবরের ওপর ভিত্তি করে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে প্রায় ২০০ লিটার ইথানল উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষাক্ত মদকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখে এমন কারবার চলতো, সেই প্রশ্নই তুলছেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। শুধু তা-ই নয়, এই কাণ্ডের ‘মূলহোতাদের ধরার দাবি জানিয়েছেন তারা।