তীব্র তাপদাহে পুড়তে থাকা থাইল্যান্ডে হিস্ট স্ট্রোকের বিষয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার এই সতর্কতা জারি করে বলেছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে হিস্ট স্ট্রোকে কমপক্ষে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপদাহের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নগরীতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বুধবার থাই রাজধানীতে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও প্রায় একই মাত্রার তাপদাহ থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা।
গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ তাপদাহ বিরাজ করছে। তীব্র তাপদাহের কারণে ফিলিপাইনে স্কুলে ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির নাগরিকরা বলেছেন, গরমের তীব্রতা এত বেশি যে নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশেও নজিরবিহীন তাপদাহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তার আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও নিয়মিত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবেচেয় গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।