দেশজুড়ে চলা দাবদাহের মধ্যে নগরবাসীকে কিছু স্বস্তি দিতে রাস্তায় পানি ছিটানো শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন; ডিএনসিসি যাকে বলছে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’। গত সপ্তাহে কিছু কিছু এলাকায় পানি ছিটানো শুরু হলেও শনিবার আগারগাঁওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ সময় মেয়র বলেন, এখন থেকে প্রতিদিন ডিএনসিসির ১২টি গাড়ি দিয়ে নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি ছিটানো হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রধান সড়কে দুটি ওয়াটার ক্যানন দিয়ে আর বিভিন্ন ছোট সড়কে ১০টি ওয়াটার বাউজার দিয়ে পানি দেবে ডিএনসিসি।
মেয়র আতিক বলেছেন, ডিএনসিসির এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে। চিফ হিট অফিসারের পরামর্শে ওয়াটার স্প্রে বা কৃত্রিম বৃষ্টির পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এভাবে পানি ছিটানো হবে। এই কার্যক্রম চলবে উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, আগারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায়। এতে গরম একেবারে কমে যাবে এমনটা নয়। কিন্তু কিছু সময়ের জন্য মানুষ স্বস্তি পাবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, রাজধানীর পার্কগুলোতেও এভাবে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সবগুলো পার্কে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টির ব্যবস্থা করার প্ল্যান করেছি। আমাদের মেকানিক্যাল টিমকে এরইমধ্যে বিষয়টি বলা হয়েছে। এটির কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পার্কগুলোয় কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে পানির ভ্যান থাকবে পানি সরবরাহ করার জন্য। এসব পরামর্শ আমাদের দিয়েছেন চিফ হিট অফিসার। তার পরামর্শেই আমরা এসব কাজ করছি।
চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, চিফ হিট অফিসার কোনো কাজ করবেন না। তিনি পরামর্শ দেবেন, সে অনুযায়ী ডিএনসিসি কাজ করবে। অনেকেই দেখছি চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে কথাবার্তা বলছেন। তিনি নাকি আমাদের সিটি করপোরেশন থেকে বেতন নেন। চিফ হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন আর্শট রকফেলার ফাউন্ডেশন। সারাবিশ্বে তারা সাত জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। সে সিটি করপোরেশন থেকে এক টাকাও পায় না, তার কোনো চেয়ারও নেই সেখানে।
রাজধানীর পথচারীদের পানি পানের সুবিধার জন্য প্রতিটি দোকানের সামনে একটি পানির ড্রাম এবং একটি গ্লাস রাখতে দোকানদারদের অনুরোধ করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হামিদা আক্তার (মিতা) প্রমুখ।