‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্ম-পরিবেশ; গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৪’ পালন করেছে দেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
দিবসটি উপলক্ষে রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে প্রতিষ্ঠানটির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ছিলো সচেতনতামূলক র্যালি ও আলোচনা সভা ইত্যাদি।
দিবসটি উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। তার উপস্থিতিতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা প্রোফাইল-২০১৯ এর নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মীদের মাঝে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে সচেতনতামূলক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি করপোরেট অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতে করণীয় দিক-নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালি ও আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা নিলু, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসানসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
আলোচনা সভার শুভেচ্ছা বক্তব্যে কর্মক্ষেত্রে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নজরুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, একজন সুস্থ ও সুরক্ষিত কর্মী কোম্পানির সম্পদ। তারা কোম্পানির উন্নয়নে ব্যাপকভাবে অবদান রাখতে সক্ষম। ওয়ালটনে আমরা একটি নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ বজায় রাখছি। পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিতে আমরা আরও সচেতন হবো এবং আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার করবো।
ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। যেকোনও কাজে অবশ্যই পরিবারের বিষয়টি আগে মাথায় রাখতে হবে। কেননা আমাদের কোনো ক্ষতি হলে তার প্রভাব পরিবারের ওপর পড়বে। ওয়ালটনে কর্মরত প্রত্যেকে মিলে একটা পরিবার। ওয়ালটন তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষে বহু কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কর্মক্ষেত্রের ঝুঁকি নিরূপণ, নিয়মিত মনিটরিং, নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান, থার্ড পার্টি অডিট, দুর্ঘটনা পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়মিত ফায়ার ড্রিল, ভাল কাজে পুরস্কার প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পারমিট গ্রহণ, সময়োপযোগী বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, ভিজুয়াল অ্যাওয়ার্নেস ইত্যাদি।