ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একলাফে একশোর ঘরে লাভেলোর শেয়ার

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • 44

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি’র শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে। গ্রীষ্মের উত্তাপকেও যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে তা। মাত্র সোয়া তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪৫ শতাংশ। রোববার (১২ মে) শেয়ারটির দাম সেঞ্চুরি করেছে।

প্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ছাড়াই শেয়ারের দামের এই উল্লম্ফন চলছে। আয়ের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হারে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকায় এর মূল্য আয় অনুপাতও (Price Earning Ratio-PE Ratio) তরতর করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পিই রেশিও বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দীর্ঘদিন লাভেলোর শেয়ারের দাম ফ্লোরে আটকে ছিল। গত জানুয়ারি মাসে ফ্লোর তুলে নেওয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারের দামে টানা দর পতন হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারের দাম ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। আর ৩০ জানুয়ারি শেয়ারটির দাম বৃদ্ধির রেস শুরু হয়। এদিন ডিএসইতে লাভেলেোর শেয়ারের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে সার্কিটব্রেকার স্পর্শ করে। এর পর থেকে সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে শেয়ারটির দাম বেড়ে চলেছে। রোববার ডিএসইতে শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য দাঁড়ায় ১০০ টাকা ৩০ পয়সা। সোয়া তিন মাসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৭০ টাকা ৫০ পয়সা।

এদিকে গত ১৫ এপ্রিল কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৭৭। অন্যদিকে সবশষে হিসাববছরের ইপিএসের (১ টাকা ২৪ পয়সা) ভিত্তিতে কোম্পানিটির শেয়ারের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৮৯।

উল্লেখ, একটি কোম্পানির পিই রেশিও যত, কোম্পানিটির সব আয় লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হলে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ ফেরত পেতে তত বছর লাগে।

বাজার বিশ্লেষকরা, ২০ পিই রেশিওসম্পন্ন শেয়ারকে বিনিয়োগের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন। তবে কোম্পানিটি গ্রোথ কোম্পানি হলে সেটি ৩০/৪০ পর্যন্ত নিরাপদ হতে পারে। এ বিবেচনায় লাভেলোর শেয়ার ইতোমধ্যে নিরাপদ বিন্দু অতিক্রম করেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

এদিকে লাভেলোর কাছে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কি-না জানতে এর কোম্পানি সচিবের কাছে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগস

একলাফে একশোর ঘরে লাভেলোর শেয়ার

আপডেট সময় ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি’র শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে। গ্রীষ্মের উত্তাপকেও যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে তা। মাত্র সোয়া তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪৫ শতাংশ। রোববার (১২ মে) শেয়ারটির দাম সেঞ্চুরি করেছে।

প্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ছাড়াই শেয়ারের দামের এই উল্লম্ফন চলছে। আয়ের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি হারে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকায় এর মূল্য আয় অনুপাতও (Price Earning Ratio-PE Ratio) তরতর করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে পিই রেশিও বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে।

ডিএসই থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দীর্ঘদিন লাভেলোর শেয়ারের দাম ফ্লোরে আটকে ছিল। গত জানুয়ারি মাসে ফ্লোর তুলে নেওয়ার পর কোম্পানিটির শেয়ারের দামে টানা দর পতন হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারের দাম ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায় নেমে আসে। আর ৩০ জানুয়ারি শেয়ারটির দাম বৃদ্ধির রেস শুরু হয়। এদিন ডিএসইতে লাভেলেোর শেয়ারের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে সার্কিটব্রেকার স্পর্শ করে। এর পর থেকে সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে শেয়ারটির দাম বেড়ে চলেছে। রোববার ডিএসইতে শেয়ারটির ক্লোজিং মূল্য দাঁড়ায় ১০০ টাকা ৩০ পয়সা। সোয়া তিন মাসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৭০ টাকা ৫০ পয়সা।

এদিকে গত ১৫ এপ্রিল কোম্পানিটি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৭৭। অন্যদিকে সবশষে হিসাববছরের ইপিএসের (১ টাকা ২৪ পয়সা) ভিত্তিতে কোম্পানিটির শেয়ারের পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৮০ দশমিক ৮৯।

উল্লেখ, একটি কোম্পানির পিই রেশিও যত, কোম্পানিটির সব আয় লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হলে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ ফেরত পেতে তত বছর লাগে।

বাজার বিশ্লেষকরা, ২০ পিই রেশিওসম্পন্ন শেয়ারকে বিনিয়োগের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন। তবে কোম্পানিটি গ্রোথ কোম্পানি হলে সেটি ৩০/৪০ পর্যন্ত নিরাপদ হতে পারে। এ বিবেচনায় লাভেলোর শেয়ার ইতোমধ্যে নিরাপদ বিন্দু অতিক্রম করেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের উচিত সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

এদিকে লাভেলোর কাছে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কি-না জানতে এর কোম্পানি সচিবের কাছে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।