ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে কেয়ারটেকারের যাবজ্জীবন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
  • 100

আট বছর আগে চট্টগ্রাম নগরে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।

দণ্ডিত ব্যক্তি হলেন মো. ফজলুল শেখ (৪৮)। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। তিনি পতেঙ্গা থানা কাটগড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের কেয়ারটেকার ছিলেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির বাসাও ঘটনার সময় কাটগড় এলাকায় ছিল। তার বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ও মা পোশাক কারখানার কর্মী। ঘটনার সময় মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে কাটগড়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি ফজলুল শেখ হাজির ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্যাগস

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে কেয়ারটেকারের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

আট বছর আগে চট্টগ্রাম নগরে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।

দণ্ডিত ব্যক্তি হলেন মো. ফজলুল শেখ (৪৮)। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। তিনি পতেঙ্গা থানা কাটগড় এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের কেয়ারটেকার ছিলেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির বাসাও ঘটনার সময় কাটগড় এলাকায় ছিল। তার বাবা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক ও মা পোশাক কারখানার কর্মী। ঘটনার সময় মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে কাটগড়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি ফজলুল শেখ হাজির ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।