ঢাকা , সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষ্ণচূড়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সেজেছে চন্দ্রিমা উদ্যান

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
  • 84

গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহে যখন চারপাশের প্রকৃতি শুষ্ক ও ক্লান্ত, তখন কৃষ্ণচূড়া ফুল তার সৌন্দর্য দিয়ে জনজীবনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের নিকটবর্তী চন্দ্রিমা উদ্যানে দেখা মিলল এমনি দৃশ্য।

গরমের মধ্যে এই গাছের ঘন ছায়া চন্দ্রিমায় ঘুরতে আসা পথচারী এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে। উত্তপ্ত পরিবেশে মানুষগুলো কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে খুঁজে পাচ্ছেন প্রশান্তি। গাছটির ছায়ায় বসে কিছুক্ষণ শান্তিতে সময় কাটানোর অনুভূতি সত্যিই যেন আরামদায়ক।

বিশেষ করে নবীন প্রেমিক যুগলদের জন্য এটি একটি বিশেষ প্রাকৃতিক মিলনস্থল। আর পায়ের নিচে পড়ে থাকা ফুলগুলো যেন একটি বড় লাল গালিচা। যুগলরা কৃষ্ণচূড়ার গালিচায় বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ডেলোনিক্স রেজিয়া’। কৃষ্ণচূড়া অনেক স্থানে ‘ফ্লেম ট্রি’ বা ‘ফ্লেম অব দ্য ফরেস্ট’ নামেও পরিচিত। এর উজ্জ্বল লাল বা কমলা ফুলগুলো গ্রীষ্মকালে ফোটে, যা গাছটিকে এক ধরনের জ্বলন্ত অগ্নি শিখার রূপ দেয়।

কৃষ্ণচূড়ার ফুলের উজ্জ্বল লাল বা কমলা রং, তীব্র রৌদ্রের মধ্যেও তাদের সৌন্দর্য বজায় রাখে। প্রতিটি ফুলের পাপড়ি একসঙ্গে মিলে একটি সুন্দর ফুলের তোড়ার মতোই সুন্দর লাগে। গাছটির শাখা-প্রশাখা জুড়ে ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে দেয় এক ভিন্ন রূপ।

কৃষ্ণচূড়া গাছটি আমাদের সংস্কৃতিতেও একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি বিভিন্ন কবিতা, গান এবং চিত্রকলায় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের অনেক কবি ও সাহিত্যিক তাদের সৃষ্টিতে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন।

কৃষ্ণচূড়া গাছের পরিবেশগত গুরুত্বও অনস্বীকার্য। এটি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং পরিবেশের অক্সিজেন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। গাছটির পাতা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং মাটির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

তীব্র তাপপ্রবাহে কৃষ্ণচূড়ার এই রূপ এবং কার্যকারিতা প্রকৃতির এক অনন্য দান। কৃষ্ণচূড়ার ঘন ছায়া এবং উজ্জ্বল ফুলের দৃশ্য শুধু চোখের শান্তি নয়, মনের প্রশান্তিও বটে।

গরমে চন্দ্রিমার কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য জনজীবনে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এটি শুধু একটি গাছ নয়, এটি গ্রীষ্মের তাবদাহের মধ্যে একটি শান্তির প্রতীক।

ট্যাগস

কৃষ্ণচূড়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সেজেছে চন্দ্রিমা উদ্যান

আপডেট সময় ০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

গ্রীষ্মের তীব্র তাপপ্রবাহে যখন চারপাশের প্রকৃতি শুষ্ক ও ক্লান্ত, তখন কৃষ্ণচূড়া ফুল তার সৌন্দর্য দিয়ে জনজীবনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের নিকটবর্তী চন্দ্রিমা উদ্যানে দেখা মিলল এমনি দৃশ্য।

গরমের মধ্যে এই গাছের ঘন ছায়া চন্দ্রিমায় ঘুরতে আসা পথচারী এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে। উত্তপ্ত পরিবেশে মানুষগুলো কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে খুঁজে পাচ্ছেন প্রশান্তি। গাছটির ছায়ায় বসে কিছুক্ষণ শান্তিতে সময় কাটানোর অনুভূতি সত্যিই যেন আরামদায়ক।

বিশেষ করে নবীন প্রেমিক যুগলদের জন্য এটি একটি বিশেষ প্রাকৃতিক মিলনস্থল। আর পায়ের নিচে পড়ে থাকা ফুলগুলো যেন একটি বড় লাল গালিচা। যুগলরা কৃষ্ণচূড়ার গালিচায় বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ডেলোনিক্স রেজিয়া’। কৃষ্ণচূড়া অনেক স্থানে ‘ফ্লেম ট্রি’ বা ‘ফ্লেম অব দ্য ফরেস্ট’ নামেও পরিচিত। এর উজ্জ্বল লাল বা কমলা ফুলগুলো গ্রীষ্মকালে ফোটে, যা গাছটিকে এক ধরনের জ্বলন্ত অগ্নি শিখার রূপ দেয়।

কৃষ্ণচূড়ার ফুলের উজ্জ্বল লাল বা কমলা রং, তীব্র রৌদ্রের মধ্যেও তাদের সৌন্দর্য বজায় রাখে। প্রতিটি ফুলের পাপড়ি একসঙ্গে মিলে একটি সুন্দর ফুলের তোড়ার মতোই সুন্দর লাগে। গাছটির শাখা-প্রশাখা জুড়ে ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে দেয় এক ভিন্ন রূপ।

কৃষ্ণচূড়া গাছটি আমাদের সংস্কৃতিতেও একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি বিভিন্ন কবিতা, গান এবং চিত্রকলায় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের অনেক কবি ও সাহিত্যিক তাদের সৃষ্টিতে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন।

কৃষ্ণচূড়া গাছের পরিবেশগত গুরুত্বও অনস্বীকার্য। এটি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং পরিবেশের অক্সিজেন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। গাছটির পাতা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং মাটির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

তীব্র তাপপ্রবাহে কৃষ্ণচূড়ার এই রূপ এবং কার্যকারিতা প্রকৃতির এক অনন্য দান। কৃষ্ণচূড়ার ঘন ছায়া এবং উজ্জ্বল ফুলের দৃশ্য শুধু চোখের শান্তি নয়, মনের প্রশান্তিও বটে।

গরমে চন্দ্রিমার কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য জনজীবনে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এটি শুধু একটি গাছ নয়, এটি গ্রীষ্মের তাবদাহের মধ্যে একটি শান্তির প্রতীক।