ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড স্বাধীন দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ২৮ মে থেকে তাদের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বুধবার (২১ মে) নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সান্তেজ এবং আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণা দেওয়ার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তারা এ তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের তাৎক্ষণিকভাবে তলব করেছে।
ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে আসছিল। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফেরানোর জন্য দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর করতে হবে। অর্থাৎ দখলদার ইসরায়েলের পাশে আলাদা স্বাধীন ফিলিস্তিনি থাকবে।
ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ফিলিস্তিনি এবং আয়ারল্যান্ডের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ দিন”।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে কোনো শান্তি আসবে না যদি ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি না দেওয়া হয়”।
অপরদিকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সান্তেজ সংসদে বলেন, “ফিলিস্তিনকে স্পেনের স্বীকৃতি দেওয়ার কারণ শান্তি, ন্যায় বিচার এবং সম্বন্বয়ের জন্য”।
তিনি আরও বলেন, “স্পেন ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত হবে। আমরা যত একত্রিত হব তত দ্রুত যুদ্ধবিরতি পাব। আমরা হাল ছেড়ে দেব না”।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাদের স্বীকৃতি দিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অপরদিকে দখলদার ইসরায়েল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হুমকি দিয়েছেন, ফিলিস্তিনি অথরিটিকে (পিএ) তারা এখন করের যে অর্থ দেন সেটি বন্ধ করে দেবেন।