বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে তালিকাভুক্ত লক্ষ লক্ষ কোম্পানি রয়েছে, কিন্তু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা খুব কম। আমরা কীভাবে দেশের ভালো ও সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে উৎসাহিত করতে পারি, তা নিয়ে কাজ করছি। আগামীতেও করবো।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫’ এর সংশোধন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকরা এবং সিএমআরআসি ও ক্যাপিটাল ইস্যু বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক; বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট; ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ভিসিপিইএবি) সভাপতি; মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল; বেসিসের ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেকে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় তিনি দেশের ভালো ও সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তকরণের ক্ষেত্র ও প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়েও কথা বলেন।
আলোচনা সভার শুরুতে ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫’ এর সংশোধন প্রস্তাব তুলে ধরে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। এরপর সংশোধন প্রস্তাবের ওপর মতামত বিনিময়ের জন্য স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দদের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পুঁজিবাজারে কীভাবে আরো বেশি ভালো ও নতুন কোম্পানিকে নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়ে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রতিনিধিবৃন্দের মতামত নেয়া হয়।
বিএসইসির পক্ষ হতে জানানো হয়, স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের মতামতের প্রেক্ষিতে শিগগিরই ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫’ এর সংশোধন চূড়ান্ত করা হবে।