ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভিটামিন এ-এর অভাব

শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধে যা করবেন

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • 98

জেরোপথ্যালমিয়া নামের এক ধরনের রোগ, যা ভিটামিন এ-এর অভাবে হয়ে থাকে। এই রোগের মোট ৮ থেকে ৯টি পর্যায় আছে। এর মধ্যে শেষ পর্যায় চোখের কর্নিয়া একদম নষ্ট হয়ে যায়। রোগী সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিশক্তি হারান। তবে এই রোগের প্রথম পর্যায়টি হচ্ছে রাতকানা রোগ।

ভিটামিন এ-এর অভাবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে ৬ বছর বয়সের শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

রোগের কারণ
১. শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব।
২. বাচ্চা অল্প ওজনের জন্ম হলে অর্থাৎ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত বেশি হয়।
৩. নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হলে।
৪. বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণ না হলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

রাতকানার লক্ষণ

  • প্রাথমিক পর্যায়ে ভোরের ও সন্ধ্যার অল্প আলোতে দেখতে অসুবিধা হয়।
  • পরে চোখ শুষ্ক অনুভূত হয়।
  • চোখে ছোট ছোট ছাই রঙের দাগ দেখা দেয়।
  • চোখের কর্নিয়ায় ঘা হয়ে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়।
  • অনেক সময় কর্নিয়ায় ফোঁড়ার মতো দেখা দেয়।

প্রতিরোধে করণীয়
১. মায়ের দুধে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। তাই জন্মের পর শিশুকে মায়ের শালদুধ খাওয়াতে হবে।
২. সন্তানকে জন্মের প্রথম পাঁচ সপ্তাহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সম্ভব হলে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
৩. ৯ মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকার সঙ্গে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

৪. ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে বছরে দুবার ৬ মাস অন্তর অন্তর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বা জাতীয় টিকা দিবসের সময় একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
৫. শিশুকে কোনোভাবে অপুষ্টিতে ভুগতে দেওয়া যাবে না।
৬. ছোটবেলা থেকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
৭. বাচ্চা হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক: কনসালটেন্ট, চক্ষু, দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবাহানবাগ, ঢাকা।

ট্যাগস

ভিটামিন এ-এর অভাব

শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধে যা করবেন

আপডেট সময় ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

জেরোপথ্যালমিয়া নামের এক ধরনের রোগ, যা ভিটামিন এ-এর অভাবে হয়ে থাকে। এই রোগের মোট ৮ থেকে ৯টি পর্যায় আছে। এর মধ্যে শেষ পর্যায় চোখের কর্নিয়া একদম নষ্ট হয়ে যায়। রোগী সম্পূর্ণরূপে দৃষ্টিশক্তি হারান। তবে এই রোগের প্রথম পর্যায়টি হচ্ছে রাতকানা রোগ।

ভিটামিন এ-এর অভাবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে ৬ বছর বয়সের শিশুরা রাতকানা রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

রোগের কারণ
১. শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব।
২. বাচ্চা অল্প ওজনের জন্ম হলে অর্থাৎ অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত বেশি হয়।
৩. নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি রোগ হলে।
৪. বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের অতিরিক্ত খাদ্যের চাহিদা পূরণ না হলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

রাতকানার লক্ষণ

  • প্রাথমিক পর্যায়ে ভোরের ও সন্ধ্যার অল্প আলোতে দেখতে অসুবিধা হয়।
  • পরে চোখ শুষ্ক অনুভূত হয়।
  • চোখে ছোট ছোট ছাই রঙের দাগ দেখা দেয়।
  • চোখের কর্নিয়ায় ঘা হয়ে কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যায়।
  • অনেক সময় কর্নিয়ায় ফোঁড়ার মতো দেখা দেয়।

প্রতিরোধে করণীয়
১. মায়ের দুধে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। তাই জন্মের পর শিশুকে মায়ের শালদুধ খাওয়াতে হবে।
২. সন্তানকে জন্মের প্রথম পাঁচ সপ্তাহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সম্ভব হলে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
৩. ৯ মাস বয়সে শিশুকে হামের টিকার সঙ্গে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

৪. ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে বছরে দুবার ৬ মাস অন্তর অন্তর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বা জাতীয় টিকা দিবসের সময় একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
৫. শিশুকে কোনোভাবে অপুষ্টিতে ভুগতে দেওয়া যাবে না।
৬. ছোটবেলা থেকে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
৭. বাচ্চা হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক: কনসালটেন্ট, চক্ষু, দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবাহানবাগ, ঢাকা।