ঢাকা , শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজার ছাড়লেন ১৫ হাজার বিনিয়োগকারী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪
  • 68

ধারাবাহিক পতনে প্রতি মাসেই নিঃস্ব হয়ে শেয়ারবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। সেই ধারাবাহিকতায় মে মাসের ১৯ কর্মদিবসে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার বিনিয়োগকারী।

বিপরীতে আলোচ্য ১৯ কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার বিনিয়োগকারী। ফলে যত বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন, তার অর্ধেক নতুন করে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খুলে বাজারে যুক্ত হয়েছেন।

বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শেয়ার ধারণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল শেয়ারবাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫টি। আর ৩০ মে বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৮টিতে। অর্থাৎ মে মাসের ১৯ কর্মদিবসে ১৫ হাজার ৪৯৩ জন বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলতে থাকায় একদিকে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা লোকসান কমাতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ সমন্বয় করতে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেল করছেন। ফলে শেয়ারশূন্য হয়ে পড়া বিও হিসাবের সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে।

শেয়ারবাজারে শেয়ারের দাম যত কমতে থাকে, ফোর্সড সেলও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে। নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট একটি সীমার নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ঋণ সমন্বয় করতে পারে। এটিই শেয়ারবাজারে ফোর্সড সেল নামে পরিচিত।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৩৩ পয়েন্ট বা সাড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। মে মাসের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচকটি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫২ পয়েন্টে। এই কারণেই বেড়েছে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে শেয়ারবাজার ছেড়ে যাওয়া বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।

ডিবিএলের হিসাবে, গত এপ্রিলেও প্রায় ১৬ হাজার বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছিলেন। সেই হিসাবে গত দুই মাসে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছাড়লেন।

ট্যাগস

শেয়ারবাজার ছাড়লেন ১৫ হাজার বিনিয়োগকারী

আপডেট সময় ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

ধারাবাহিক পতনে প্রতি মাসেই নিঃস্ব হয়ে শেয়ারবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। সেই ধারাবাহিকতায় মে মাসের ১৯ কর্মদিবসে শেয়ারবাজার ছেড়েছেন প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার বিনিয়োগকারী।

বিপরীতে আলোচ্য ১৯ কর্মদিবসে শেয়ারবাজারে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার বিনিয়োগকারী। ফলে যত বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন, তার অর্ধেক নতুন করে বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব খুলে বাজারে যুক্ত হয়েছেন।

বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শেয়ার ধারণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল শেয়ারবাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫টি। আর ৩০ মে বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৮টিতে। অর্থাৎ মে মাসের ১৯ কর্মদিবসে ১৫ হাজার ৪৯৩ জন বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।

বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলতে থাকায় একদিকে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা লোকসান কমাতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ঋণ সমন্বয় করতে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেল করছেন। ফলে শেয়ারশূন্য হয়ে পড়া বিও হিসাবের সংখ্যা যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে।

শেয়ারবাজারে শেয়ারের দাম যত কমতে থাকে, ফোর্সড সেলও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে। নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট একটি সীমার নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ঋণ সমন্বয় করতে পারে। এটিই শেয়ারবাজারে ফোর্সড সেল নামে পরিচিত।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৩৩ পয়েন্ট বা সাড়ে ৬ শতাংশ কমেছে। মে মাসের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচকটি ছিল ৫ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচকটি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৫২ পয়েন্টে। এই কারণেই বেড়েছে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে শেয়ারবাজার ছেড়ে যাওয়া বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।

ডিবিএলের হিসাবে, গত এপ্রিলেও প্রায় ১৬ হাজার বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছিলেন। সেই হিসাবে গত দুই মাসে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছাড়লেন।