ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন বগুড়ার হযরত আলী

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
  • 107

দেশের জনপ্রিয় ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হযরত আলী। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ‘মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এ সুবিধা পান তিনি। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে একই সুবিধা পেয়েছিলেন ফেনীর গৃহিণী ঝর্না বেগম।

শুক্রবার (মে ৩১, ২০২৪) বিকেলে শান্তাহার রোডের জেকে কলেজ গেট এলাকায় মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যে কোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। আরও আছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।

নওগাঁর গাওসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে তাফসির বিষয়ে ২০২০ সালে কামিল পাশ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বেলহাট্টি গ্রামের হযরত আলী। মা-বাবা ও স্ত্রীসহ তার চার সদস্যের পরিবারে একটি ফ্রিজ প্রয়োজন ছিল। তাই, গত ১৫ মে তারিখে ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ৬০০ টাকায় ২১৩ লিটার ধারণক্ষমতার একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন তিনি। কেনার পর ক্যাম্পেইনের চলমান সিজন-২০ এর আওতায় তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার মেসেজ যায়।

অনুষ্ঠানে হযরত আলী বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখলাম— মার্সেল ফ্রিজ দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী, মানও ভালো। তাই, মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি। কিন্তু, ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে হতবাক হয়ে পড়ি। ক্রেতাদের দেওয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে মার্সেল। সাধারণ ক্রেতাদের এরকম বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশেই আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করছে মার্সেল। আমাদের দেশে মার্সেলের মতো কোম্পানি যদি তৈরি না হতো, তাহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশি ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে হতো আমাদের। তাই, আমাদের সবারই দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা ও ব্যবহার করা উচিত।’

নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘মার্সেল কোম্পানি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তারা। আমাদের প্রত্যাশা—মার্সেল একসময় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুর রশীদ, চামরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল নর্থ জোনের ইনচার্জ কুদরত-ই-খোদা সফওয়ান, মার্সেল ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম রেজা, ব্র্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মুবাশ্বির মুরশিদ, সেতু ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।

ট্যাগস

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন বগুড়ার হযরত আলী

আপডেট সময় ০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

দেশের জনপ্রিয় ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেয়েছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হযরত আলী। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ‘মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এ সুবিধা পান তিনি। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে একই সুবিধা পেয়েছিলেন ফেনীর গৃহিণী ঝর্না বেগম।

শুক্রবার (মে ৩১, ২০২৪) বিকেলে শান্তাহার রোডের জেকে কলেজ গেট এলাকায় মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যে কোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। আরও আছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।

নওগাঁর গাওসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে তাফসির বিষয়ে ২০২০ সালে কামিল পাশ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বেলহাট্টি গ্রামের হযরত আলী। মা-বাবা ও স্ত্রীসহ তার চার সদস্যের পরিবারে একটি ফ্রিজ প্রয়োজন ছিল। তাই, গত ১৫ মে তারিখে ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ৬০০ টাকায় ২১৩ লিটার ধারণক্ষমতার একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন তিনি। কেনার পর ক্যাম্পেইনের চলমান সিজন-২০ এর আওতায় তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার মেসেজ যায়।

অনুষ্ঠানে হযরত আলী বলেন, ‘বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখলাম— মার্সেল ফ্রিজ দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী, মানও ভালো। তাই, মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি। কিন্তু, ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে হতবাক হয়ে পড়ি। ক্রেতাদের দেওয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে মার্সেল। সাধারণ ক্রেতাদের এরকম বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশেই আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করছে মার্সেল। আমাদের দেশে মার্সেলের মতো কোম্পানি যদি তৈরি না হতো, তাহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশি ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে হতো আমাদের। তাই, আমাদের সবারই দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা ও ব্যবহার করা উচিত।’

নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘মার্সেল কোম্পানি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তারা। আমাদের প্রত্যাশা—মার্সেল একসময় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুর রশীদ, চামরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল নর্থ জোনের ইনচার্জ কুদরত-ই-খোদা সফওয়ান, মার্সেল ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম রেজা, ব্র্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মুবাশ্বির মুরশিদ, সেতু ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।