ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের উদ্দেশে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি ও পলাতক সাত আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য সরবারাহ করার আবেদন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (৩ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত হেড অব বাংলাদেশ এফআইইউ-কে (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ১০ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য সরবরাহের আদেশ দেন।
ওই ১০ আসামি হলেন—শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, সেলেষ্টি রহমান ওরফে শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, আসামিরা ভিকটিমকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। তারা প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ-পলিতে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশপাশের খালে ফেলে দেয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে, মামলার ভিকটিমকে কীভাবে অপহরণ করে টাকা আদায় করবে এবং টাকা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা তথা লাশ গুম করবে। গ্রেপ্তার করা আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বর্ণনা পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামিদের নাম- ঠিকানা সংগ্রহ তথা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান আছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নাম্বারের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টা অ্যাকাউন্ট আছে, তার তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।