ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘অর্থনীতির গলার কাঁটা’ খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • 56

আজ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে বাজেট বক্তৃতায় ব্যাংক খাতের ‘অর্থনীতির গলার কাঁটা’ খেলাপি ঋণ নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি। আর এমন একটি দিনেই ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ প্রকাশ করলো আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকায়। এ খাতের বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে।

এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা আগের তিন মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের মার্চ শেষে মোট বিতরণকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৪.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৪.৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

এ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সরকার বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেবে ৯৫ লাখ ১০০ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

ট্যাগস

‘সরকার পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে’

‘অর্থনীতির গলার কাঁটা’ খেলাপি ঋণ ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ

আপডেট সময় ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

আজ জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে বাজেট বক্তৃতায় ব্যাংক খাতের ‘অর্থনীতির গলার কাঁটা’ খেলাপি ঋণ নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি। আর এমন একটি দিনেই ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ প্রকাশ করলো আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকায়। এ খাতের বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে।

এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা, যা আগের তিন মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।

চলতি বছরের মার্চ শেষে মোট বিতরণকৃত ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা খেলাপি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ১৪.২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপি’র ৪.৬ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে নির্বাহ করার জন্য প্রস্তাব করা হলো।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

এ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সরকার বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেবে ৯৫ লাখ ১০০ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।