ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • 77

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ অন্যসব খাতের ন্যায় শেয়ারবাজারেও বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন- এক্ষেত্রে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না। অর্থাৎ এবার বিনাপ্রশ্নে কালো টাকা সদা করার সুযোগ থাকছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধারা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটেই অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার কথা উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ প্রদর্শনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, রিটার্ন দাখিলে করদাতার অজ্ঞতাসহ অনিবার্য কিছু কারণে অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে।

এই অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নে এই ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আয়কর আইনে কর প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন।

এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন- ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।’

পরিসম্পদের ব্যাখ্যায় নগদ, আর্থিক স্কিম, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের ন্যায় সিকিউরিটিজকেও ওই সম্পদের মধ্যে ধরা হয়েছে।

ট্যাগস

শেয়ারবাজারে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ

আপডেট সময় ১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ অন্যসব খাতের ন্যায় শেয়ারবাজারেও বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন- এক্ষেত্রে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না। অর্থাৎ এবার বিনাপ্রশ্নে কালো টাকা সদা করার সুযোগ থাকছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধারা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটেই অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার কথা উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালু হওয়ার ফলে বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ প্রদর্শনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, রিটার্ন দাখিলে করদাতার অজ্ঞতাসহ অনিবার্য কিছু কারণে অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে।

এই অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নে এই ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আয়কর আইনে কর প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন।

এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন- ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহার এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫ শতাংশ কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।’

পরিসম্পদের ব্যাখ্যায় নগদ, আর্থিক স্কিম, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের ন্যায় সিকিউরিটিজকেও ওই সম্পদের মধ্যে ধরা হয়েছে।