ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের শেয়ারবাজার বড় কেলেঙ্কারি, তদন্তের দাবি রাহুলের

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • 39

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিজেপি ক্ষমতায় আসার বিষয়ে এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। এরফলে ভারতের শেয়ারবাজারে রেকর্ড লাফ দেখা যায়।

কিন্তু এক্সিট পোলের তথ্য যখন ভুল প্রমাণিত হয় এবং ভোটের প্রকৃত ফলাফল সামনে আসতে থাকে, তখন শেয়ারবাজারে রেকর্ড পতন ঘটে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ইঙ্গিত মেলার পরই শেয়ারবাজারে এমন বড়সড় পতন ঘটে।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

রাহুল গান্ধী শেয়ারবাজার এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জড়িত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তে একটি যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিন তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজার এবং সেখানে বিনিয়োগ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তারা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া তো তাদের কাজ নয়।’

গত ৪ জুন ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে পয়লা জুন শেষ হয় সাত দফায় ভোট গ্রহণ। সে দিনই ভোটের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থা। জরিপে আভাস দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চার শতাধিক আসন পাবে-এমন আশার কথা শুনিয়ে আসছিলেন মোদিও। নির্বাচন চলাকালে গত ২৩ মে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ৪ জুন বিজেপি রেকর্ডসংখ্যক আসন পাবে। আর শেয়ারবাজারের সূচকও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে।

অপরদিকে, গত ১৩ মে অমিত শাহ এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার মতে, ৪ জুনের আগে (শেয়ার) কিনুন। শেয়ারবাজারের সূচক (এর পরে) বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।’

শেয়ারবাজারের এই ‘কেলেঙ্কারিতে’ ভারতের বিনিয়োগকারীরা ৩০ লাখ কোটি রুপি হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী।

কংগ্রেস এই নেতা বলেন, বিজেপি, ভুয়া বুথফেরত জরিপকারী ও সন্দেহজনক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সম্পর্কটা কী? এসব বিদেশি বিনিয়োগকারী বুথফেরত জরিপ ঘোষণার এক দিন আগে বিনিয়োগ করেছিল এবং পাঁচ কোটি পরিবারের ক্ষতি করে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে।

রাহুল গান্ধী বলেন, জেপিসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।

ট্যাগস

ভারতের শেয়ারবাজার বড় কেলেঙ্কারি, তদন্তের দাবি রাহুলের

আপডেট সময় ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিজেপি ক্ষমতায় আসার বিষয়ে এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। এরফলে ভারতের শেয়ারবাজারে রেকর্ড লাফ দেখা যায়।

কিন্তু এক্সিট পোলের তথ্য যখন ভুল প্রমাণিত হয় এবং ভোটের প্রকৃত ফলাফল সামনে আসতে থাকে, তখন শেয়ারবাজারে রেকর্ড পতন ঘটে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ইঙ্গিত মেলার পরই শেয়ারবাজারে এমন বড়সড় পতন ঘটে।

বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

রাহুল গান্ধী শেয়ারবাজার এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জড়িত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তে একটি যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিন তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজার এবং সেখানে বিনিয়োগ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিলেন তারা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া তো তাদের কাজ নয়।’

গত ৪ জুন ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে পয়লা জুন শেষ হয় সাত দফায় ভোট গ্রহণ। সে দিনই ভোটের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থা। জরিপে আভাস দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চার শতাধিক আসন পাবে-এমন আশার কথা শুনিয়ে আসছিলেন মোদিও। নির্বাচন চলাকালে গত ২৩ মে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ৪ জুন বিজেপি রেকর্ডসংখ্যক আসন পাবে। আর শেয়ারবাজারের সূচকও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে।

অপরদিকে, গত ১৩ মে অমিত শাহ এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার মতে, ৪ জুনের আগে (শেয়ার) কিনুন। শেয়ারবাজারের সূচক (এর পরে) বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।’

শেয়ারবাজারের এই ‘কেলেঙ্কারিতে’ ভারতের বিনিয়োগকারীরা ৩০ লাখ কোটি রুপি হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী।

কংগ্রেস এই নেতা বলেন, বিজেপি, ভুয়া বুথফেরত জরিপকারী ও সন্দেহজনক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সম্পর্কটা কী? এসব বিদেশি বিনিয়োগকারী বুথফেরত জরিপ ঘোষণার এক দিন আগে বিনিয়োগ করেছিল এবং পাঁচ কোটি পরিবারের ক্ষতি করে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে।

রাহুল গান্ধী বলেন, জেপিসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।