ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উগান্ডাকে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম জয়

  • ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • 88

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে ইতোমধ্যেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের। বাকি দুই ম্যাচে তাদের লক্ষ্য ছিল সান্ত্বনার জয়। উগান্ডাকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল কেন উইলিয়ামসনের দল। লো স্কোরিং ম্যাচে বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসা দলটিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

আজ শনিবার (১৫ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের বোলিং তোপে ১৮.৪ ওভারে ৪০ রানেই গুটিয়ে যায় উগান্ডা। জবাব ৫.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় নিউ জিল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখে-শুনে শুরু করেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। তবে এই জুটি বেশিদূর যেতে পারেনি। দলীয় ২৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অ্যালেন। তার আগে ১৭ বলে ১ চারের মারে করেন ৯ রান।

তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন রাচিন রবীন্দ্র। কনওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন রাচীন। তাতে ৩৩ বলেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় কিউইরা। কনওয়ে ১৪ ও রাচীন ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ৯ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় উগান্ডা। পরপর দুই উইকেট নিয়ে উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথমে সিমন সেসাজিকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান বোল্ট। এরপর রবিনসন অভুয়াকেও ফেরান এই পেসার।

টানা দুই বলে দুই উইকেট হারানো উগান্ডাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন আলপেশ রমজানি ও রোনাক প্যাটেল। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই রমজানিকে বিদায় করেন টিম সাউদি। এরপর ২ রান করে ফিরে যান রোনাকও। তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টেনার।

একপ্রান্ত আগলে রান করার চেষ্টা করছিলেন কেনাথ ওয়াইসা। কিন্তু একা বেশিদূর যেতে পারেননি। ম্যাচের অষ্টম ওভারে রতাকে ফেরান লুকি ফার্গুসন। ১৮ বলে ১১ রান করেন কেনাথ। ১০ ওভারে উগান্ডার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ২১ রান।

এরপর রিয়াজাত আলি শাহকে ২ রানে বিদায় করেন রাচীন রবীন্দ্র। দীনেশ নাকরানিও এই অলরাউন্ডারকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ব্রায়ান মাসাবা ও ফ্রেড আকেলাম। কিন্তু স্রোতে পড়ে বেশিদূর আগাতে পারেননি তারা। আকেলামকে ৯ রনে ফেরান সাউদি। কোনো রান না করেই ফিরে যান জুমা মিয়াগি।

শেষের দিকে লড়াই করার চেষ্টা করেন কসমাস কেওয়াটা ও মাসাবা। নবম উইকেট জুটিতে দুজন দলকে কিছুটা ভালো অবস্থানে এনে নেওয়ার চেষ্টা করতেই স্যান্টেনারের আঘাত। কেওয়াটাকে ১ রানে ফিরিয়ে উগান্ডার লেজ মুড়িয়ে দেন তিনি।

নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি। ২টি করে উইকেট নেন বোল্ট, স্যান্টেনার ও রবীন্দ্র। ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেন ফার্গুসন।

ট্যাগস

উগান্ডাকে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম জয়

আপডেট সময় ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে ইতোমধ্যেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের। বাকি দুই ম্যাচে তাদের লক্ষ্য ছিল সান্ত্বনার জয়। উগান্ডাকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল কেন উইলিয়ামসনের দল। লো স্কোরিং ম্যাচে বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসা দলটিকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

আজ শনিবার (১৫ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের বোলিং তোপে ১৮.৪ ওভারে ৪০ রানেই গুটিয়ে যায় উগান্ডা। জবাব ৫.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় নিউ জিল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখে-শুনে শুরু করেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। তবে এই জুটি বেশিদূর যেতে পারেনি। দলীয় ২৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অ্যালেন। তার আগে ১৭ বলে ১ চারের মারে করেন ৯ রান।

তার বিদায়ে ক্রিজে আসেন রাচিন রবীন্দ্র। কনওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন রাচীন। তাতে ৩৩ বলেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় কিউইরা। কনওয়ে ১৪ ও রাচীন ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ৯ রান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় উগান্ডা। পরপর দুই উইকেট নিয়ে উগান্ডাকে ধসিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথমে সিমন সেসাজিকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান বোল্ট। এরপর রবিনসন অভুয়াকেও ফেরান এই পেসার।

টানা দুই বলে দুই উইকেট হারানো উগান্ডাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন আলপেশ রমজানি ও রোনাক প্যাটেল। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই রমজানিকে বিদায় করেন টিম সাউদি। এরপর ২ রান করে ফিরে যান রোনাকও। তাকে ফেরান মিচেল স্যান্টেনার।

একপ্রান্ত আগলে রান করার চেষ্টা করছিলেন কেনাথ ওয়াইসা। কিন্তু একা বেশিদূর যেতে পারেননি। ম্যাচের অষ্টম ওভারে রতাকে ফেরান লুকি ফার্গুসন। ১৮ বলে ১১ রান করেন কেনাথ। ১০ ওভারে উগান্ডার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ২১ রান।

এরপর রিয়াজাত আলি শাহকে ২ রানে বিদায় করেন রাচীন রবীন্দ্র। দীনেশ নাকরানিও এই অলরাউন্ডারকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ব্রায়ান মাসাবা ও ফ্রেড আকেলাম। কিন্তু স্রোতে পড়ে বেশিদূর আগাতে পারেননি তারা। আকেলামকে ৯ রনে ফেরান সাউদি। কোনো রান না করেই ফিরে যান জুমা মিয়াগি।

শেষের দিকে লড়াই করার চেষ্টা করেন কসমাস কেওয়াটা ও মাসাবা। নবম উইকেট জুটিতে দুজন দলকে কিছুটা ভালো অবস্থানে এনে নেওয়ার চেষ্টা করতেই স্যান্টেনারের আঘাত। কেওয়াটাকে ১ রানে ফিরিয়ে উগান্ডার লেজ মুড়িয়ে দেন তিনি।

নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি। ২টি করে উইকেট নেন বোল্ট, স্যান্টেনার ও রবীন্দ্র। ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেন ফার্গুসন।